পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দ্বাদশ সম্ভার).djvu/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अंब्र६-जांश्छिा न१4झे অপরাধও কম হয়নি। সিঙ্গাপুরে যেতে অস্বীকার করার পরেও আপনাকে বারংবার অঙ্গুরোধ করা আমার তারি অঙ্কুচিত হয়েচে । নইলে এ-সব কিছুই ঘটতে না । তারই ক্ষমা তিক্ষা চাইতে আজ আমার আলা। কাল বড় অঞ্চস্থ ছিলেন, আজ বাস্তবিক স্বস্থ হয়েচেন, না একজনের পরে রাগ করে আর একজনকে শাস্তি দিচ্চেন, বলুন তো সত্যি করে ? উত্তর দিতে গিয়া দুজনার চোখাচোথি হইল, সবিতা চোখ নামাইয়া বলিলেন, জামি ভালই আছি। না থাকলেই বা আপনি তার কি উপায় করবেন বিমলবাবু ? বিমলবাবু বলিলেন, উপায় করা তো শক্ত নয়, শক্ত হচ্চে অনুমতি পাওয়া । সেইটি পেতে চাই । না, সে আপনি পাবেন না। ন পাই, অন্ততঃ রমণীবাবুকে ফোন করে জানাবার হুকুম দিন। আপনি নিজে তো জানাবেন না । না, জানাবো না। কিন্তু আপনিই বা জানাতে এত ব্যস্ত কেন বলুন ? বিমলবাবু কয়েক-মুহূৰ্ত্ত স্তব্ধ হইয়া রহিলেন, তারপর ধীরে ধীরে কহিলেন, কালকের চেয়ে আজ আপনি যে ঢের বেশি অস্বস্ব তা ঘরে পা দেওয়া মাত্রই চোখে দেখতে পেয়েচি–চেষ্টা করেও লুকোতে পারেননি। তাই ব্যস্ত। উত্তর দিতে সবিতারও ক্ষণকাল বিলম্ব হইল, তার পরে কহিলেন, নিজের চোখকে অত নিভূল ভাবতে নেই বিমলবাবু, ভারি ঠকতে হয়। বিমলবাবু কহিলেন, হয় না তা বলিনে, কিন্তু পরের চোখই কি নিভুল ? সংসারে ঠকার ব্যাপার যখন আছেই তখন নিজের চোখের জন্যেই ঠক ভালো। এতে তৰু একটা সাস্তুনা পাওয়া যায় । সবিতার হাসিবার মতো মানসিক অবস্থা নয়—হাসির কথাও নয়—অনিশ্চিত, অজ্ঞাত আতঙ্কে মন বিপৰ্য্যস্ত, তথাপি পরমাশ্চৰ্য্য এই যে, মুখে তাহার হাসি আসিয়া পড়িল । এ হাসি মানুষের সচরাচর চোখে পড়ে না—যখন পড়ে রক্তে নেশা লাগে । বিমলবাবু কথা ভুলিয়া একদৃষ্টি চাহিয়া রহিলেন-ইহার ভাষা স্বতন্ত্ৰ—পরিপূর্ণ মদির পাত্রে তৃষ্ণাৰ্ত্ত মদ্যপের চোখের দৃষ্টির সহজত যেন এক মুহূর্তে বিকৃত করিয়া দিল এবং সে চাহনীর নিগুঢ় অর্থ নারীর চক্ষে গোপন রহিল না। সবিতার অনতিকাল পূর্বের সন্দেহ ও সম্ভাবিত ধারণা এইবার নিঃসংশয় প্রত্যয়ে সৰ্ব্বাঙ্গ ভরিয়া যেন লজ্জার কালি ঢালিয়া দিল। মনে পড়িল এই লোকটি জানে সে স্ত্রী নয়, লে গণিকা । তাই অপমানে ভিতরটা যতই জালা করিয়া উঠুক, কড়া গলায় প্রতিবাদ করিয়া ইহার সম্মুখে মর্ধ্যাদাহানির অভিনয় করিতেও প্রবৃত্তি হইল না। বিগত রান্ত্রির ঘটনা স্মরণ হইল। তখন অপমানের প্রত্যুত্তরে সেও অপমান কম করে নাই, কিন্তু এই লোকটি অমার্জিত- রুচি, Գն)