পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (নবম সম্ভার).djvu/১৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

C e অtশুবাবু কছিলেন, ব’সে অজিত। ভাল আছ ? অজিত মাখা মাড়িয়া কহিল, আজে ই । আপনার শরীরটা এখন কেমন আছে । ভাল মনে হচ্ছে ত ? আপ্তবাবু বলিলেন, অমুখটা সেরেচে বলেই ভরসা পাচ্চি। পরস্পর কুশল প্রশ্নোত্তর এইখানেই থামিল। কমল না থাকিলে হয়ত আরও দুই-একটা কথা চলিতে পারিত, কিন্তু চোখাচোথি হইবার ভয়ে অজিত সেদিকে মুখ ভুলিতে সাহস করিল না। মিনিট দুই-তিন সকলেই চুপ করিয়া থাকার পরে হরেন্দ্র প্রথমে কথা কহিল। জিজ্ঞাসা করিল, আপনি কি সোজা বাসা থেকেই এখন আসচেন ? কিছু একটা বলিতে পাইয়া অজিত বাচিয়া গেল। বলিল, না, ঠিক সোজ৷ আসতে পারিনি, আপনার সন্ধানে একটু ঘুর-পথেই আসতে হয়েচে । আমার সন্ধানে ? প্রয়োজন ? 劇 প্রয়োজন আমার নয়, আর একজনের। তিনি রাজেনের খোজে দুপুর থেকে বোধ করি বার-চারেক উকি মেরে গেলেন। বসতে বলেছিলাম। রাজি হলেন না। স্থির হয়ে অপেক্ষা করাটা হয়ত ধাতে সয় না। হরেন্দ্র শঙ্কিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিল, লোকটি কে ? দেখতে কেমন ? বললেন না কেন সে এখানে নেই । অজিত কহিল, সে সংবাদ তাকে দিয়েচি। বোধ হয় বিশ্বাস করলেন না। হরেন্দ্র উদ্বিগ্ন-মুখে উঠিয়া দাড়াইল এবং কমলকে বাসায় পৌছাইয়া দিবার ভার আপ্তবাবুর পরে দিয়া প্রস্থান করিল। সে চলিয়া গেলে আণ্ডবাবু বলিলেন, কমল, এই রাজেন ছেলেটিকে আমি দু-তিনবারের বেশি দেখিনি—বিপদে না পড়লে তার সাক্ষাৎ মেলে না, কিন্তু মনে হয় তাকে অত্যন্ত ভালবাসি। কি যেন একটা মহামূল্য জিনিস সে সঙ্গে নিয়ে বেড়ায় । অথচ হরেন্দ্রর মুখে শুনি সে ভারি wild—পুলিশে তাকে সন্দেহের চোখে দেখে-ভয় হয় কোথায় কি একটা বিভ্ৰাট ঘটিয়ে বসবে, হয়ত খবরও একটা পাবো না—এই দেখ না হঠাৎ কোথায় যে অদৃপ্ত হয়েচে কেউ খুজে পাচ্চে না । কমল প্রশ্ন করিল, হঠাৎ যদি খবর পান সে বিপদে পড়েচে কি করেন ? আগুবাবু বলিলেন, কি করি সে জবাব শুধু তখনই দেওয়া যায়—এখন নয়। অসুখের সময় নীলিমা আর আমি বহু কাহিনীই তার হরেন্দ্রর কাছ থেকে গুনেচি। পরার্থে আপনাকে সত্যি করে বিলিয়ে দেওয়ার স্বরূপটা যে কি—গুনতে শুনতে যেন (אלכ