পাতা:শান্তিনিকেতন (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শান্তিনিকেতন তখন মানবের মহামেলার মাঝখানে এসে আমরা দাড়িয়েছি—তখন, চীন, হুন, শক, পারসিক, গ্ৰীকৃ, রোমকৃ, সকলে আমাদের চারিদিকে ভিড় করে এসেছে—তখন জনকের মত রাজা একদিকে স্বহস্তে লাঙল নিয়ে চাষ করচেন, অন্ত দিকে দেশ দেশান্তর হতে আগত জ্ঞানপিপাসুদের ব্ৰহ্মজ্ঞান শিক্ষা দিচ্চেন এ দৃশু দেখবার আর কাল ছিল না। কিন্তু সেদিনকার ঐশ্বৰ্য্যমদগৰ্ব্বিত যুগেও তখনকার শ্রেষ্ঠ কবি তপোবনের কথা কেমন করে বলেছেন তা দেখলেই বোঝা যায় যে তপোবন যখন আমাদের দৃষ্টির বাহিরে গেছে তখনো কতখানি আমাদের হৃদয় জুড়ে বসেছে। কালিদাস ৰে বিশেষভাবে ভারতবর্ষের কবি তা তার তপোবন চিত্র থেকেই সপ্রমাণ হয়। এমন পরিপূর্ণ আনন্দের সঙ্গে তপোবনের ধ্যানকে আর কে মুৰ্ত্তিমান করতে পেরেছে ! রঘুবংশ কাব্যের যবনিকা যখনি উদঘাটত ○や2