পাতা:শান্তিনিকেতন (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শাস্তিনিকেতন এই যোগভ্রষ্টতা, এই বোধশক্তির অসাড়ত। থেকে ভারতবর্ষ মানুষকে রক্ষা করবার জন্যে চেষ্টা করেছে । মানুষের জ্ঞান বর্বরতা থেকে অনেক দূরে অগ্রসর হয়েছে তার একটি প্রধান লক্ষণ কি ? না, মানুষ বিজ্ঞানের সাহায্যে জগতের সর্বত্রই নিয়মকে দেখতে পাচ্চে । যতক্ষণ পর্য্যস্ত তা না দেখতে পাচ্ছিল ততক্ষণ পৰ্য্যস্ত তার জ্ঞানের সম্পূর্ণ সার্থকতা ছিল না। ততক্ষণ বিশ্বচরাচরে সে বিচ্ছিন্ন হয়ে বাস করছিল – সে দেখছিল জ্ঞানের নিয়ম কেবল তার নিজের মধ্যেই আছে আর এই বিরাট বিশ্বব্যাপারের মধ্যে নেই। এই জন্তেই তার জ্ঞান আছে বলেই সে যেন জগতে একঘরে হয়ে ছিল । কিন্তু আজ তার জ্ঞান, অণু হতে অণুতম ও বৃহৎ হতে বৃহত্তম সকলের সঙ্গেই নিজের যোগস্থাপন করতে প্রবৃত্ত হয়েছে—এই হচ্চে বিজ্ঞানের সাধন । aw