পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১২ শাস্তিনিকেতন এই কথাটা প্রত্যহই বলে যেতে হবে, ‘তুমি সংসারের চেয়ে বড়ো ! তুমি সকলের চেয়ে বড়ো ! যেমন করে পারি তেমনি করেই বলব। আমাদের শক্তি ক্ষুদ্র, অন্তর্ষামী তা জানেন । কোনোদিন আমাদের মনে কিছু জাগে কোনোদিন একেবারেই জাগে না— মনে বিক্ষেপ আসে, মনে ছায়া পড়ে। উপাসনার যে মন্ত্র আবৃত্তি করি প্রতিদিন তার অর্থ উজ্জল থাকে না। কিন্তু, তৰু নিষ্ঠ হারাব না। দিনের পর দিন এই দ্বারে এসে দাড়াব, দ্বার খুলুক আর নাই খুলুক। যদি এখানে আসতে কষ্ট বোধ হয় তবে সেই কষ্টকে অতিক্রম করেই আসব। যদি সংসারের কোনো বন্ধন মনকে টেনে রাখতে চায়, তবে ক্ষণকালের জন্যে সেই সংসারকে এক পাশে ঠেলে রেখেই আসব। কিছু নাই জোটে যদি তবে এই অভ্যাসটুকুকেই প্রত্যহ তার কাছে এনে উপস্থিত করব। সকলের চেয়ে যেটা কম দেওয়া অন্তত সেই দেওয়াটাও তাকে দেব। সেইটুকু দিতেও যে বাধাটা অতিক্রম করতে হয়, যে জড়তা মোচন করতে হয়, সেটাতেও যেন কুষ্ঠিত না হই । অত্যন্ত দরিদ্রের ষে রিক্তপ্রায় দান সেও যেন প্রত্যহই নিষ্ঠার সঙ্গে তার কাছে এনে দিতে পারি। র্যাকে সমস্ত জীবন উৎসর্গ করবার কথা, দিনের সকল কর্মে সকল চিন্তায় র্যাকে রাজ করে বসিয়ে রাখতে হবে, র্তাকে কেবল মুখের কথা দেওয়া ! কিন্তু, তাও দিতে হবে। আগাগোড় সমস্তই কেবল সংসারকে দেব আর তাকে কিছুই দেব না, তাকে প্রত্যেক দিনের মধ্যে একান্তই ‘না করে রেখে দেব, এ তে কোনোমতেই হতে পারে না । দিনের আরম্ভে প্রভাতের অরুণোদয়ের মাঝখানে দাড়িয়ে এই কথাটা একবার স্বীকার করে যেতেই হবে ষে ; পিতা নোহসি । তুমি পিত, আছ । আমি স্বীকার করছি তুমি পিতা। আমি স্বীকার