পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নমস্তেহস্ত ©› ዓ অন্তরতর কথা হচ্ছে, তুমি আমার আপন, তুমি আমার মাতা, আমার পিতা, আমার বন্ধু, আমার প্রভু, আমার বিদ্যা, আমার ধন : ত্বমেব সৰ্বং মম দেবদেব। তুমি আমার এবং আমি তোমার, তোমাতে আমাতে এই-ষে যোগ এই যোগটিই আমার সকলের চেয়ে বড়ো সত্য, আমার সকলের চেয়ে বড়ো সম্পদ। তুমি আমার মহত্তম সত্যতম আপন স্বরূপ । ঈশ্বরের সঙ্গে এই যোগ উপলদ্ধি করবার একটি মন্ত্র হচ্ছে : পিতা নোহসি। তুমি আমাদের পিতা। যিনি অনন্ত সত্য তাকে আমাদের আপন সত্য করবার এই একটি মন্ত্র : তুমি আমাদের পিতা। আমি ছোটো, তুমি ব্রহ্ম, তৰু তোমাতে আমাতে মিল আছে : তুমি পিতা। আমি অবোধ, তুমি অনন্ত জ্ঞান, তবু তোমাতে আমাতে মিল আছে : তুমি পিতা। এই-যে যোগ এই যোগটি দিয়ে তোমাতে আমাতে বিশেষভাবে যাতায়াত, তোমাতে আমাতে বিশেষভাবে দেনাপাওনা। এই যোগটিকে যেন আমি সম্পূর্ণ সজ্ঞানে, সম্পূর্ণ সবলে অবলম্বন করি। তাই আমার প্রার্থনা এই যে : পিতা নোবোধি। তুমি যে পিতা আমাকে সেই বোধটি দাও। তুমি তো ‘পিতা নোহসি', পিতা আছ ; কিন্তু, শুধু আছ বললে তো হবে না— পিতা নোবোধি, তুমি আমার পিতা হয়ে আছে এই বোধটি আমাকে দাও। আমার চৈতন্য ও বুদ্ধি -যোগে যে-কিছু জ্ঞান আমি পাচ্ছি সমস্তই র্তার কাছ থেকে পাচ্ছি ‘ধিয়ো যোনঃ প্রচোদয়াৎ’— যিনি আমাদের ধীশক্তিসকল প্রেরণ করছেন । যিনি বিশ্বব্রহ্মাণ্ডকে অখণ্ড এক করে রয়েছেন, তার কাছ থেকে ছাড়া কোনো জ্ঞান জার-কোথা পাব ! কিন্তু, সেই সঙ্গে যেন এই বোধচুকুও পাই যে তিনিই দিচ্ছেন। তিনিই পিতারূপে আমাকে জ্ঞান দিচ্ছেন, এই বোধৰ্টুকু আমার