নলিনী। যদি একেবাবে অসাধ্য বোধ না করেন তো আজকের মতো আপনারা সতীশকে মাপ ক’র্বেন—ইনি আজ টেনিস্সূট্ পরে’ আসেন নি। এত বড়ো শোচনীয় দুর্ঘটনা।
নন্দী। আপনি ওকালতি ক’রলে খুন, জাল, ঘর জ্বালানও মাপ ক’রতে পারি। টেনিসসূট না প’রে এলেই যদি আপনার এত দয়া হয়, তবে আমার এই টেনিসসুট্টা মিষ্টার সতীশকে দান করে’ তাঁর এই— এটাকে কি বলি! তোমার এটা কি সুট্, সতীশ? খিচুরী সুটই বলা যাক — আমি সতীশের এই খিচুড়ী সুট্টা পরে’ রোজ এখানে আসবো। আমার দিকে যদি স্বর্গের সমস্ত সূর্য্য চন্দ্র তারা অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে, তবু লজ্জা ক’রবো না। সতীশ এ কাপড়টা দান ক’রতে যদি তোমার নিতান্তই আপত্তি থাকে, তবে তোমার দর্জ্জির ঠিকানাটা দিয়ো। ফ্যাশানেবল ছাঁটের চেয়ে মিস লাহিড়িব দয়া অনেক মূল্যবান্।
নলিনী। শোনো, শোনো সতীশ, শুনে রাখো। কেবল কাপড়ে ছাঁট নয়, মিষ্ট কথার ছাঁদও তুমি মিষ্টার নন্দীর কাছে শিখ্তে পার। এমন আদর্শ আর পাবে না। বিলাতে ইনি ডিউক ডাচেস্ ছাড়া আর কারও সঙ্গে কথাও কন নাই! মিষ্টার নন্দী, আপনাদের সময় বিলাতে বাঙালী ছাত্র কে কে ছিলো?
নন্দী। আমি বাঙালীদের সঙ্গে সেখানে মিশিনি।
নলিনী। শুন্চো সতীশ! বীতিমত সভ্য হ’তে গেলে কত ছোঁয়া বাঁচিয়ে চল্তে হয়। তুমি বোধ হয় চেষ্টা ক’রলে পার্বে। টেনিস সুট সম্বন্ধে তোমার যে বকম সূক্ষ্ম ধর্ম্মজ্ঞান, তাতে আশা হয়। (অন্যত্র গমন)
সতীশ। (দীর্ঘনিশ্বাস ফেলিয়া) নেলিকে আজ পর্য্যন্ত বুঝতেই পার্লেম না।