পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Svo শ্ৰীকান্ত গভীর বিরাগ ও কঠোর সাধনার জন্য মহারাজের আদেশে আমাদের সেবার ব্যবস্থাটা আমনি একটু কঠোর রকমের ছিল। তাহার পরিমাণও BBS DBBBDD BD DBDBD S S DDDDS DBDSDiDDSuDuDS KBB ইত্যাদি কঠোর সাত্ত্বিক ভোজন এবং তাহা জীণ করিবার অনুপান । আবার ভগবৎপদারবিন্দ হইতেও চিত্ত বিক্ষিপ্ত না হয়, সেদিকেও আমাদের লেশমাত্র অবহেলা ছিল না । ফলে, আমার শুকনো কাঠে ফুল ধরিয়া গেল,- aकथानेि लूछिद्र लक्रभs cनथ। ब्रिल । w একটা কাজ ছিল-ভিক্ষায় বাহির হওয়া । সন্ন্যাসীর পক্ষে ইহা সর্বপ্রধান কাজ না তইলেও, একটা প্ৰধান কাজ বটে। কারণ সাত্বিক ভোজনের সহিত ইহাব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। কিন্তু মহারাজ নিজে ইহা করিতেন না, আমরা তাহার সেবকেরা পালা করিয়া করিতাম। সন্ন্যাসীর অপরাপর কর্তব্যে আমি তাহার অন্য দুই চেলাকে অতি সত্বর ডিঙাইয়া গেলাম ; শুধু এইটাতেই বরাবর খোড়াইতে লাগিলাম। এটা কোনদিনই নিজের কাছে সহজ এবং রুচিকর করিয়া তুলিতে পারিলাম না। তবে এই একটা সুবিধা ছিল--সেটা হিন্দুস্থানীদের দেশ। আমি ভাল-মন্দর কথা বলিতেছি না, আমি বলিতেছি, বাংলাদেশের মত সেখানকার মেয়ের "হাতজোড়া-আর এক বাডি এগিয়ে দেখ’ বলিয়া উপদেশ দিত না এবং পুরুষেরাও চাকরি না করিয়া ভিক্ষা করি কেন, তাহার কৈফিয়ৎ তলব করিত না। ধনী-দরিদ্রনির্বিশেষে প্ৰতি গৃহস্থই সেখানে ভিক্ষা দিত। কেহই বিমুখ করিত না । এমনি দিন যায়। দিন-পনের ত সেই আমবাগানের মধ্যেই কাটিয়া গেল। দিনের বেলা কোন বালাই নাই, শুধু রাত্রে মশার কামড়ের জ্বালায় মনে হইত— থাক মোক্ষসাধন ! গায়ের চামড়া আর একটু মোটা করিতে না পারিলে তা আর বঁচি না । অন্যান্য বিষয়ে বাঙ্গালী যত সেরাই হোক, এ-বিষয়ে বাঙ্গালীর চেয়ে হিন্দুস্থানী-চামড়া যে সন্ন্যাসের পক্ষে ঢের বেশি। -অনুকুল, তাহা স্বীকার করিডেই হইবে । সেদিন প্ৰাতঃস্নান করিয়া সাত্ত্বিক ভোজনের চেষ্টায় বহির্গত হইতেজি, rt vR fa