পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যমঙ্গল.djvu/১৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আদিখণ্ড ՎԳ কেমনে ঘরেরে যাব একেশ্বরী অামি । কি লাগিয়া মোরে দয়া পাশরিলে তুমি ॥১২৫ দেব-আরাধন সজ্জ থাকিল পড়িয়া । আমার শুশ্রীষা কেলে গেলা ত ছাড়িয় ॥১২৬ আজি হৈতে শুম্ভ হৈল মোর গৃহবাস । বিভা কৈলা বিশ্বম্ভর না গেলা ভ পাশ ॥ ১২৭ ৷ আরে রে পাপিষ্ঠ সপ! কোথা তুই ছিলি। আমারে না খাইলি কেনে–জী’ত বধু খালি ৷ মোর সেবা করিবারে বধূ নিয়োজিয়া। বিদেশে চলিল পুত্র লিশ্চিন্ত হইয়া ॥ ১২৯ ॥ কেমনে বা পূত্রমুখ চাহিল অভাগী। কি করিল প্রাণ পোড়ে লংকে লা দেখি ॥ ১৩০ এতেক বিলাপ দেখি যত বন্ধুগণ। সন্তে বোলে- শচীদেবি কর সম্বরণ ॥ ১৩১ ৷ যার যে নিৰ্ব্বন্ধ আছে-ঘূচাইলে কেহ । সকল সংসার মিথ্যা এই সব দেহ ॥ ১৩২ ৷ তোমারে কে বুঝাইব—তুমি সব জান। জানিএঃ শুনিএঃ কেলে প্রবোধ না মান ॥১৩৩ শরীর ধরিয়া কেহো মৃত্যু না এড়ায়। ব্ৰহ্মাদি দেবতা যত ভার মৃত্যু পায়। ১৩৪ ৷ কেহো আগে কেহো পাছে—মরণ সভার । জনম, মরণমাত্র সভার ব্য ভণর ॥ ১৩৫ ৷৷ সত্য এক বস্ত কৃষ্ণ – বেদে মাত্র জানি। হেন কৃষ্ণ যে না ভজে—সেই মূঢ়খনি ॥১৩৬ ৷ ইহ বলি প্ৰবোধিয়া সব বন্ধুজন। হরি বলি’ সম্ভে মিলি সম্বরে ক্ৰন্দন ॥ ১৩৭ ৷ তবে সব-জন মিলি যে বিধি আছিল। • করিয়া সৎক্রিয়া সভে ঘরেরে চলিল ॥১৩৮৷৷ কান্দিতে কান্দিতে শচী নিজঘর গেলা। প্রবোধ করিলা তারে বন্ধুগণ মেল্যা ॥১৩৯ ৷ তলে ওথ কথোদিল রহি বিশ্বস্তর। ঘরেরে চলিলা প্রভু আনন্দ-অন্তর ॥ ১৪০ ॥ রজত, কাঞ্চন, শস্ত্র, মুকুতা, প্রবাল । সকলবৈষ্ণু-পূজা করিল অপর ॥ ১৪১ ৷ ঘরেরে আইল। প্রভু নন। ধন লএঃ।। মাতৃস্থানে দিল ধন হরমিত হএঃ ॥১৪১ ৷ নমস্কার করি প্রভু নেহারে সদন। লিরসবদন শচী না কহে বচন ॥ ১৪৩ ৷ পুনরপি পদধূল লয় বিশ্বম্ভর। মলিনবদন দেখি কহিল উত্তর ॥ ১৪৪ ॥ যে কিছু অামিল ধন মায়ে নিবেদিয়া । পারি ধীরি কহে প্রভু লিস্মিত হইয়া ॥১৪৫। কেনে হেন দেখি তোমার মলিনলদল । তোমারে মলিন দেখি পোড়ে মোর মন ॥১৪৬৷৷ এ লোল শুনিএ শচী গদগণ-ভাষ । ঝরয়ে আঁখির নীর—fণ্ডজে হিয়া বাস ॥ ১৪৭ ৷ কহিতে ন পারে কিছু—সকরুণ কণ্ঠ । কহিল—আমার বধূ গেল। ত বৈকুণ্ঠ ॥ ১৪৮ ৷৷ এ বোল শুলিএ প্রভু বিরস অন্তর। ছলছল করে তর্মাখি করুণার জল ॥ ১৪৯ ৷ মায়েরে কহিল প্রভু—শুনহ বচন । পূৰ্ব্বকথা কহি তার জন্মের কারণ ॥ ১৫০ ॥ ইন্দ্রের অন্সর লুত্য করে এক-কালে । দৈলের নির্ববন্ধ পদস্খলন হৈল তারে। ১৫১ ৷ তালভঙ্গ হৈল –শাপ দিল সুরেশ্বরে। পৃথিবীতে জন্ম গিয়। মনুষ্যের ঘরে ॥ ১৫২ ৷ শাপ দিয়া পুনঃ দয়া ভেল দেবরাজে। দুঃখ না পাইব তুমি—হৈব বড় কাজে ॥ ১৫৩ ৷ পৃথিবীতে অবতার হইবে ঈশ্বর। ভার বধু হৈবা তুমি–এই দিল বর ॥১৫৪৷৷ তবে ত আসিবে তুমি এই ইন্দ্রপুরী। কহিল সকল-সেই ইন্দ্রের সুন্দরী ॥ ১৫৫ ৷ শোক না করিহ আর—শুল মোর মাত । নিৰ্ব্বন্ধ না ঘুচে যেই লিখিল লিধাত ॥ ১৫৬ ৷ পূত্রের বচন শচী শুনি সাবধানে। না করিল শোক কিছু না করিল। মনে ॥ ১৫৭ ৷৷ প্রলোপ পাইয়া শচী করে অন্ত-চিন্ত।। ভক্তগণসঙ্গে লসি কহে নিজ কথা ॥ ১০৮ ॥