পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যমঙ্গল.djvu/১৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ক্রীচৈতন্যমঙ্গল চলিল। ত পিশ্বস্তুর গয়৷ করিবারে । সংহতি চলিহ বিপ্র হরিষ অন্তরে ॥ ১৭ যে পথে চলয়ে প্রভু শচীর নন্দল । সে পথের লোক দেখি জুড়ায় নয়ন ১৮ ॥ লাল, বুদ্ধ, পঙ্গু জড় পায় দেখিবারে। পশু পক্ষী ধায় সব--অশ্ৰু লেত্রে ঝরে ॥ ১৯ ॥ কুলবধু ধায় সব কুলত্যাগ করি’ । সম্ভে বোলে—হের-দেখ ত্রজের শ্ৰীহরি ॥ ২০ ॥ ইহা বলি ধায় লোক না বান্ধয়ে কেশ । উন্মত্ত করিল প্রভু ভ্ৰমি সৰ্ব্বদেশ ॥২১ ৷ সৰ্ব্বপথে এই মতে সৰ্ব্বলোক পায় । সৰ্ব্বলোকে প্রেম-রস-সাগরে ভাসায় ॥ ২২ ॥ পথে ধাইভে একঠাঞি দেখে গৌরহরি। কুরঙ্গ-কুরঙ্গে কেলি করে এক মেলি ॥ ২৩। মৃগের কৌতুক দেখি ভেল কুতুহল। প্রাকুভলোকের মত হাসে খল খল ॥ ২৪ ॥ লে। ভ-মোহ-কাম-ক্রোপে মত্ত পশুগণ । কৃষ্ণ না ভজিলে এইমত সৰ্ব্বজন ॥ ২৫ ॥ সঙ্গিগণে হাসিয়া বুঝান ভগবান। যে বুদ্ধি পশুতে সে মানুষে বিদ্যমান ॥ ২৬। কুষ্ণজ্ঞান নাঞি মাত্র পশুর শরীরে। মলুস্থ্যে না ভজে কৃষ্ণ –পশু বলি তারে ॥ ২৭ ॥ এত বুঝাইয়া প্রভু জগতের গুরু। চলিলা পথেতে প্রভু বাঞ্ছাকল্পতরু ॥ ২৮ ॥ তলে সেই চিরনামে আছে এক নদী । স্নানদান কৈল প্ৰভু যে আছিল বিধি ॥২৯। দেব পূজ। পিতৃপূজা করি হরষিতে। মন্দরে উঠিল৷ প্ৰভু দেবভা দেখিতে ॥ ৩০ ॥ দেবতা দেখিয়া প্রভু নাম্বিল সত্বর। পৰ্ব্বভ নিকটে বাস —ত্ৰাহ্মণের ঘর ॥ ৩১ ॥ হেনকালে বিশ্বম্ভর-সঙ্গের ব্রাহ্মণ । সে-দেশের বিপ্র দেখি দোষে তার মন ॥৩২৷ দেশ-আচরণ তারা করে যথাবিধি । দেখিয়। ব্রাহ্মণে তার নাহি বিপ্রবুদ্ধি ॥৩৩। ব্রাহ্মণে অবজ্ঞা দেখি প্রভু বিশ্বম্ভর। প্রকাশিব দ্বিজ ভক্তি—করিলা অন্তর ॥ ৩৪ ॥ আচম্বিতে প্রভুদেহে আইল মহাজর। জর দেখি ত্ৰাস পাইল সভার অন্তর ॥ ৩৫ ॥ বলিলা ঠাকুর—শুন শুন সৰ্ব্বজন। দেল-পিতৃকার্য্যে বিঘ্ন ভেল কি-কণবণ ॥ ৩৬৷৷ লা জানি কি মোর দোষে সন্ধুিগণ-দোষে । শ্ৰেয়ঃকার্য্যে বিঘ্ন হয়—দড় অসন্তোষে ॥৩৭৷ সৰ্ব্ববিঘ্ন-নিবারণ আছয়ে উপা%। " লিপ্রপাদোদক মোরে দেহ ত জুয়ায় ॥৩৮৷ বিপ্রপাদোদক খাইলে সৰ্ব্বপাপ হরে। এখনে ঘুচিব জর কি করিতে পারে ॥৩৯ ॥ সেইখানে সেইদেশী আছিল ব্রাহ্মণ । আপনে উঠিয়। তার পাখালে চরণ ॥ ৪০ ৷ বিপ্রপাদোদক-পান কৈল বিশ্বম্ভর। প্রকাশিল দ্বিজম্ভক্তি পলাইল জর ॥৪১ ॥ সঙ্গের সে দ্বিজবর বোলে চাটুবাণী । আমার অন্তর-দোষে দুঃখ পাইলে তুমি ॥৪২৷ কুৎসিত আচার দেখি মোর মন দোষে । মোর মন-দোষে তুমি পাইলে অসন্তোষে ॥ এখনে ব্রাহ্মণভক্তি প্রকাশিলে তুমি। অপরাধ কৈলু—দোষ ক্ষমিবে আপনি ॥ ৪৪ ৷ তুমি সে ব্রহ্মণ্য দ্বিজ ভক্তি-অধিকারী। ভৃগুমুনি-পদ চিহ্ন নিজবক্ষে ধরি ॥ ৪৫ ৷ নিজ ভক্তি-মহিম। প্রকাশ নিজমুখে। জগতের নিস্তার করহ এইরূপে ॥৪৬৷৷ জয় বিশ্বস্তুরপ্রিয় জয় দ্বিজরাজ। তোমায় সেবিলে সিদ্ধ হয় সব কাজ ॥ ৪৭ ॥ নম দ্বিজবল্লভ দয়ালু গৌরহরি। নম ধৰ্ম্মসংস্থাপন সৰ্ব্ব অধিকারী ॥ ৪৮ ॥ সঙ্গীর এতেক বাক্য শুনি বিশ্বম্ভর । ক্ষমা কৈলা সভাকার দোষ বহুতর ॥৪৯ ॥ ইহারা পূজয়ে মধুসূদন ঠাকুর। এ সকল ত্যজ্য নহে-লা ভাবিহ দূর ॥ ৫০ ॥