পাতা:শ্রীসনাতন গোস্বামী.djvu/২৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম অধ্যায়—মনমোহনিয়া প্রভৃতি সকলে বিস্মিত নয়নে দেখিলেন, সেই সব মৃত্তিক। মণিমুক্তময়। কত দুষ্প্রাপ্য মহামূল্য মণি সেই মৃত্তিক মধ্যে নিহিত রহিয়াছে। তীক্ষু বুদ্ধি বাদদা বুঝিলেন, সনাতনের ইচ্ছায় এই সব মণি মুহুর্তে স্বষ্টি হইয়াছে। তখন ভারতের সদাশয় সম্রাট হাটু গাড়িয়া বসিয়া সনাতনকে বলিলেন, “আমার শিক্ষা হয়েছে, আমার গৰ্ব্ব চূর্ণ হয়েছে—আমায় ক্ষম করুন। আপনি যা পেয়েছেন, তা’র তুলনায় পৃথিবীর ঐশ্বৰ্য্য অতি সামান্ত ; আর আপনার তুলনায় আমি অতি ক্ষুদ্র । এক্ষণে বিদায় নিলাম—বিরক্ত করিতে আমি বা আমার লোকেরা আর আসবে না ।” পূৰ্ব্বে বলা হইয়াছে সনাতন মাধুকরি করিতেন ; কিন্তু এক গৃহে পুনঃ পুনঃ ভিক্ষা করিতে যাওয়া তিনি উচিত বিবেচনা করিতেন না। তাই নিকটবৰ্ত্তী গ্রামে মধ্যে মধ্যে যাইতেন, কখন কখন বা সুদূর মথুরাতেও যাইতেন। একদিন মথুরা লগরে মথুরাপ্রসাদ চৌবের গৃহে মাধুকরি করিতে গিয়াছেন। গিয়া দেখিলেন, তথায় মনমোহনিয়া মদনমোহন বিগ্ৰহ রহিয়াছেন ; কিন্তু বড় অনাচারে ঠাকুরের সেবা হয়। সেবা যে হয়, তাও ঠিক নয়। চৌবের ছেলেরা যখন আহারাদি করে, ঠাকুরকেও তখন সেই সঙ্গে কিছু দেওয়া হয়। ঠাকুরের জন্য স্বতন্ত্র রন্ধন বা আয়োজন কিছুই করা হয় না। ফুল তুলসী ՀԳԵ