তারকের স্ত্রী বলিল “সকালে উঠেই তিনি মুখুয্যে-বাড়ী গিয়েছেন। হ্যাঁ মা, মুখুয্যে-বাড়ী কি হয়েছে? ওঁকে জিজ্ঞাসা করতে উনি বল্লেন, সে সব শুনে কাজ নেই। কোন খুন-খরাবৎ হয় নি ত!”
শ্যামা ঠাকুরাণী বলিলেন “বৌমা, সে সব কথা আর তোমার শুনে কাজ নেই। তোমরা বৌ-মানুষ, সে কথা শুন্লে লজ্জায় তোমাদের মাথা হেঁট হবে। আশীর্ব্বাদ করি, স্বামীপুত্র নিয়ে সুখে থাক, পরের কথার মধ্যে যেও না।”
তারকের স্ত্রী তখন নতজানু হইয়া শ্যামা ঠাকুরাণীর পদধূলি লইয়া প্রথমে ছেলের মাথায় দিল, তাহার পর নিজের মাথায় লইয়া বলিল “সেই আশীর্ব্বাদই কর মা! তাই যেন হয়। ফিরে যাবার সময় আর একবার থোকাকে দেখে যাবে ত। আমি এখনই ওষুধ এনে খাইয়ে দিচ্ছি।”
শ্যামা ঠাকুরাণী বলিলেন “আর ত ভয়ের কিছু নেই। দেখি, ফিরবার সময় যদি পারি ত একবার খোঁজ নিয়ে যাব। আমার কি মা, সোয়াস্তি আছে, না অবসর আছে। এই গায়ের দশ তাল নিয়েই আমি আছি।”
তারকের স্ত্রী বলিল, “তাই থাক মা, তাই থাক। তুমি আছ, তাই বিপদ-আপদে ভয় হয় না; ডাক্লেই তুমি এসে উপস্থিত হও। কত যে বল ভরসা তোমার করি মা, তা এক মুখে বল্তে পারিনে।”
শ্যামা ঠাকুরাণী বলিলেন “আর দেরী করতে পারছিনে। দেরী