পাতা:সংবাদপত্রে সেকালের কথা প্রথম খণ্ড.djvu/৩৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

N9్పb* চনংবাদ পত্রে মোকালেনৰ কথা ঠাকুরের বাট ভাগীরথীর কুলভঙ্গেতে ভগ্নপ্রায় হইয়াছিল তৎপ্রযুক্ত পূৰ্ব্ববাটীর দক্ষিণ পূর্ব দিকে পূৰ্ব্বমত বাট প্রস্তুত হইতেছে। { ২১ ডিসেম্বর ১৮২২ । ৭ পৌষ ১২২৯ ) হরিহর ছত্রের মেলা ॥—মোং পাটনাহইতে পত্র আসিয়াছে তাহাতে জানা গেল ষে মোং পাটনার উত্তর হাজীপুরের নীচে যেখানে গঙ্গার সহিত গণ্ডকী নদীর সঙ্গম হইয়াছে তথাতে প্রতিবৎসর কাৰ্ত্তিকী পূর্ণিমাতে গঙ্গা স্নানোপলক্ষে তৎপ্রদেশের হিন্দু লোক আসিয়া থাকে এবং অনেক দেশীয় শওদাগর এবং নানাপ্রকারের ঘোড়া ও নানা দেশীয় নানা জাতীয় বলদ গরু ও হাতী ও উটপ্রভৃতি নানাবিধ আসিয়া থাকে অত্যন্ত লোক যাত্রা হয় তাহার নাম হরিহর ছত্রের মেলা। এই বৎসর ১৪ কাৰ্ত্তিক ২৮ নবেম্বর বৃহস্পতিবার ঐ মেলা হইয়াছিল ইং ১° কাৰ্ত্তিক লাগাএদ ১৭ তারিখ এ সপ্তাহ তথাতে অনবরত লোক যাত্র হইয়াছিল। স্বৰুে বেহারের ছয় জিলার যত সাহেবান রাজকৰ্ম্ম সংক্রাস্ত ও যুদ্ধ সংক্রান্ত সাহেবান এবং অনেক২ বিদেশী সাহেব লোক প্রধান২ সাহেবের তিন চারি শত এবং পঞ্চহোঁস অর্থাৎ ইংরেজী পাকশালার দোকান ও অনেক২ প্রকার ইউরোপীয় শপ অর্থাৎ ইউরোপীয় দোকান ৷ এবং সৰ্ব্বসাধারণ মঙ্গুষ্য অনুমান পাচ লক্ষ একত্র হইয়াছিল ইহার মধ্যে অনেকে কেবল মান দান করিবার কারণ দুই প্রহর ও আড়াই প্রহরপর্য্যস্ত ছিলেন এবং সাত দিবসপৰ্য্যস্ত স্থায়ী ব্যবসায়ী শওদাগর ইত্যাদি অকুমান দুই লক্ষ লোক হইবেক ইহাতে অকুমান চারি শত সাহেব লোক ও পঞ্চাশ জন রাজা ও পঞ্চাশ জন নবাব ও ভাগ্যবান ওমরা ও জমীদার বিশ হাজার ও নানা দেশীয় ব্রাহ্মণ পণ্ডিত পঞ্চাশ হাজার ও দণ্ডী ব্রহ্মচারি বাণপ্রস্থ ইত্যাদি বিশ হাজার রামাত ও ফকীর আকড়ধারী প্রভৃতি পঞ্চাশ হাজার ও নানকশাহী ও কবিরশাহী রামগুলেল শাই ফকীরপ্রভৃতি দশ হাজার হইবেক ও নানাপ্রকার ব্যবসায়ী লোক চারি পাচ হাজার ও অশ্বব্যবসায়ী দশ হাজার অশ্ব পঞ্চাশ হাজার ও বলদ গরু পাচ হাজার হস্তী দুই শত ইতর জন্তু বকরী ও ভেড়া ও মহিষ ও কুকুর বিড়ালপ্রভৃতি পাচ শত ও নানাপ্রকার পক্ষী অনুমান বিশ হাজার এবং নাচ গীত বাদোদ্যম নানা স্থানে নানাস্বরে নানা যন্ত্রে বিবিধ প্রকার হইয়াছিল। এই বৎসর অশ্ব অতিস্থলভ এবং শওদাগরী ঘোড়া অভ্যন্ত্র বিক্রয় হইয়াছে । ( ৮ ফেব্রুয়ারি ১৮২৩ । ২৭ মাঘ ১২২৯ ) নুতন ঘাট ॥—মোকাম বহলভপুরে রাধাবহুলভ ঠাকুরের পুরাতন মন্দিরের নিকট পুরাতন এক ঘাট বাধা ছিল সে ঘাট ভগ্ন হুইয়াছে তাহাতে কলিকাতার গৌর সেটের স্ত্রী বিধবা শ্ৰীমতী টুকুমণী সেই ভগ্ন ঘাটের নিকট দক্ষিণে অতিউত্তম এক ঘাট বান্ধিয়াছেন সে ঘাট দীৰ্ঘে ও প্রস্থে বড় এবং শক্ত ও স্থদ্বগু হইয়াছে এবং সেই ঘাটে উপযুক্তমত দ্বাদশ মন্দির প্রস্তুত হইয়াছে ।