পাতা:সচিত্র তীর্থ-ভ্রমণ-কাহিনী (তৃতীয় ভাগ) - গোষ্ঠবিহারী ধর.pdf/২৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-r ܫܒܩ-ܫ ۔۔۔۔۔۔۔۔۔ জঙ্গল পথ অতিক্ৰম করিবার সময় চোরের ন্যায় নিঃশব্দে ভগবান পশুপতিনাথের শ্ৰীচরণ ধ্যান করিতে করিতে উৎকণ্ঠিত হৃদয়ে অগ্রসর হইতে লাগিলাম । বলাবাহুল্য, এই শ্বাপদ সংস্কুল প্ৰশস্ত জঙ্গল পথ অতিক্ৰম করিবার সময় কানামাছি ও মশার দংশনে আরও আমাদিগকে কাতর করিয়া তুলিল। একটা কথা এখানে বলিবার আছে, এই পাৰ্ব্বত্য জঙ্গল পথ অতিক্ৰম করিবার সময় পথিকেরা সহজেই ক্লান্ত হইয়া পড়েন, ঐ সকল ক্লান্ত পথিকদিগের শাস্তির নিমিত্তে সদাশয় নেপাল রাজমন্ত্রী “মহারাজ দেবশ্যামসেয় স্বীয় স্বৰ্গীয়া পত্নীর নাম অক্ষয় করিবার অভিলাষে ঐ প্রশস্ত জঙ্গল পথের স্থানে স্তানে জলের কল প্ৰতিষ্ঠা করিয়া দিয়া পরিশ্রান্ত যাত্ৰাদিগের কত উপকার এবং কত পুণ্য সঞ্চয় করিয়াছেন, তাহার ইয়াত্তা নাই । প্ৰত্যেক জলধারার উপর দেবনাগরী অক্ষরে তঁহার পত্নী “কৰ্ম্মকুমারীর” নাম জাজ ল্যমান লেখা আছে । আমরা এই সকল প্রতিষ্ঠিত কলের জলপান করিয়া তৃপ্তিলাভপূর্বক মহারাজের কীৰ্ত্তি ও বদ্যান্যতা স্বীকার করিতে লাগিলাম। এইরূপে অতি কষ্টে সন্তৰ্পণের সহিত বিছা করি নামক জনপদ পূর্ণ প”, ”নিবাসে উপস্থিত হইয়া যেন নব জীবন প্ৰাপ্ত হইলাম । সে রাত্ৰি - য় অবস্থান করিয়া পর দিবস জলযোগের পর যথাসময়ে ভগবানের পবিত্র নাম উচ্চারণপূর্বক পুনরায় অগ্রসর হইতে লাগিলাম। এ পথ ও অতি ভয়৷ নক-কে বল বালুক ও লুড়ি পাথরাচ্ছন্ন ; একটী পাৰ্ব্বত্য জলশূন্য নদীবক্ষ পথ ভেদ করিয়া কেহ খাটোলীতে, আবার কেহ বা পদব্রজে অগ্রসর হইতে লাগিলাম। এখান হইতে বহু দূরব্যাপী কাটামুণ্ড সহর পর্য্যন্ত এইরূপ ভয়াবহ স্থান অতিক্ৰম করিতে হয় । ক্রমে এই নদীপথে\ষত অগ্রসর হইতে লাগিলাম, তাহার দুই পার্শ্বে গভীর জঙ্গলাবৃত পৰ্ব্বত । সকল উন্নত মস্তকে দাড়াইয়া আমাদিগকে যেন ভগবান পশু ?াতিনাথের