পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সবুজ পত্র - ভাদ্র, ১৩২৩ واز থিয়েটারে পুনঃপ্রবেশ করবার সংস্কল্প করলেন-অমনি তঁর মনশ্চক্ষু হতে বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ড সরে গেল, আর তার জায়গায় পটেশ্বরী এসে gिigल । ংখ্য অপরিচিত অসভ্য ও আমোদপ্ৰিয় লোকের মধ্যে তঁর স্ত্রী একা বসে রয়েছে-এই মনে করে তার হৃৎকম্প উপস্থিত হ’ল । তিনি যেন স্পষ্টই দেখতে পেলেন যে, চিকের আবরণ ভেদ করে শত শত লুব্ধনেত্রের রক্তদৃষ্টি পটেশ্বরীর দেহকে, স্পর্শ করছে অঙ্কিত করছে, কলঙ্কিত করছে। এর পর বড়বাবুর পক্ষে আর এক মুহুৰ্ত্ত ও বাইরে থাকা সম্ভব হল না, তিনি পাগলের মত ছুটে গিয়ে আবার থিয়েটারের ভিতরে প্রবেশ করলেন। এবার তঁর আর অভিনয় দেখা হ’ল না ; ভঁার চোখের সুমুখে কোথেকে যেন একটি ঘন কুয়াশা উঠে এসে, চারদিক ঝাপসা করে BDS BDBBD D BBDBDB BDDD DBD DBBB DDD S অভিনেতা অভিনেত্রীদের কতক কথা তার কাণে ঢুকলেও, তার একটি কথাও তার মনে ঢুকাল না । কেননা সে মনের ভিতর শুধু একটি কথা জাগছিল, উঠছিল, পড়ছিল। যে স্ত্রীলোক খিলখিল করে হেসে উঠেছিল, সে পটেশ্বরী-কি পটেশ্বরী নয় ? এই ভাবনা, এই চিন্তাই তঁর সমস্ত মনকে অধিকার করে বসেছিল। তিনি বারবার সেই জেনানা-বক্সের দিকে চেয়ে দেখতে লাগলেন, এবং প্রতিবার তঁর মনে হ’ল যে, এ পটেশ্বরী না হয়ে আর যায় না। শুধু তাই নয়, তিনি রঙ্গালয়ের অন্দরমহলের যেদিকে দৃষ্টিপাত করলেনসেই দিকেই দেখলেন পটেশ্বরী বসে আছে। ক্রমে এই দৃশ্য তঁর কাছে এত অসহ্য হয়ে উঠল যে, তিনি চোখ বুজালেন। তাতেও কোন ফল হল না। তঁর বেঁজি। চোখের সুমুখেও পটেশ্বরী এসে