পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় বর্ষ, পঞ্চম সংখ্যা একটি জরুরী প্ৰস্তাব S እsዓ একালের বিদ্যালয়ে আমরা পাঠ করিতে যাই না-পাস। করিতে যাই; অর্থাৎ Universityর বাঙ্গলা নাম পাঠশালা নয়-পাসশালা। পাস করিতে হইলে প্রশ্নের মুখামুখি জবাব দিতে হয়, এবং সে জন্য সে জবাব মুখস্থ রাখিতে হয়। গদ্য অপেক্ষ পদ্য যে কণ্ঠস্থ করা ঢের সহজ, তাহা সকলেই জানেন । সুতরাং বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল বিদ্যা-মায় গণিতশাস্ত্ৰ-যদি পদ্যে অভ্যন্ত করিবার ব্যবস্থা করা হয়, তাহা হইলে আমাদের ছেলেরা যে শতকরা একশ’জন পাস হইবে, সে বিষয়ে আর সন্দেহ নাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের আশা করি, আমার এ প্ৰস্তাবটি কাৰ্য্যে পরিণত করিবেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর আমাদের কোনও হাত নাই, কেননা আমরা মাত্র-সাহিত্যিক । কিন্তু যেহেতু আমরা সাহিত্যিক, সে কারণ পুস্তক পত্রিকার উপর আমাদের সম্পূৰ্ণ হাত আছে । আমরা ইচ্ছা করিলেই অন্ততঃ সাহিত্যে অনায়াসে পদ্যকে পুনরায় রাজপদে প্রতিষ্ঠিত করিতে পারি। এ যুগে কেবলমাত্র চার শ্রেণীর রচনা সাহিত্য-পদবাচ্য- কবিতা, ছোটগল্প, প্রত্নতত্ত্ব এবং সমালোচনা । বলা বাহুল্য, কবিতা যে পদ্যে লেখা সম্ভব, শুধু তাহাই নহে,- কৰ্ত্তব্যও বটে। গদ্যে কবিত্ব করিলে তাহা যে কবিতা হয় না, ইহা ত সর্ববাদীসম্মত । গল্প যে পদ্যে লেখা যায়, তাহার প্রমাণ পৃথিবীর সকল দেশের সকল মহাকাব্য। তবে এস্থলে এ আপত্তি উথাপিত হইতে পারে যে, ও সব বড়লোকের বড় কথা, ছোট গল্প যে পদ্য-দেহধারণ করিতে পারে, তাহার প্রমাণ কি ? প্ৰমাণ রবীন্দ্ৰনাথের “কথা” ও