পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

98 সবুজ পত্ৰ छ्त्रक्षूिन ७ ठिंक, s७२७ DBD BB SBD LLLD L0YSS DBB S BD DDD DBD পক্ষপাতী, তবুও একালের খেয়ালীরা তানের যেরূপ অপপ্রয়োগ এবং দুষ্টপ্রয়োগ করে থাকেন, তা আমার কাণেও অসহ। তান করতাপ ইত্যাদিকে সঙ্গীতের অলঙ্কার বলা হয় । অলঙ্কারের উদ্দেশ্য অবশ্য দেহের শোভাবুদ্ধি করা, ঢেকে ফেলা নয়। খেয়ালীদের প্রযুক্তি অলঙ্কারের প্রাচুর্ঘ্য এবং অসঙ্গত ও অযথা বিন্যাসের ফলে, লোকে সুরের চেহারা প্রায়ই দেখতে পায় না। কতকগুলো টুকরোর সমষ্টিতে সঙ্গীতের রূপ জন্মলাভ করে না, কেননা সে রূপ হচ্ছে অখণ্ড ও সমগ্ৰ । পুর্বোক্ত শ্রেণীর খেয়ালীর সঙ্গীতের রূপের সঙ্গে তার রসও নষ্ট করেন। সুতরাং সে গানে যে লোকে রস পায় না, তাতে আর আশ্চৰ্য্য কি ? সুরের কুটিমোড়া-ভাঙ্গা ও ডিগবাজি খাওয়া অত্যাশ্চৰ্য্য ব্যাপার হলেও, সঙ্গীত নয় ; কেননা সঙ্গীত বাজি नम्र, यां2 । দেহীমাত্রেরই রূপ কেবলমাত্র দেহের রেখার সুষমার উপর নির্ভর করে না।--তদুপরি বর্ণও চাই। বৰ্ণ শুধু রূপকে প্ৰকাশ করে নাসেই সঙ্গে তার অন্তর্নিহিত প্ৰাণেরও পরিচয় দেয়। স্বরই হচ্ছে সঙ্গীতের বর্ণ। কেন জানিনে অধিকাংশ ওস্তাদ তাদের কণ্ঠস্বরকে অতিশয় কৰ্কশ করে তোলেন। বাণী বীণাপাণি প্রকৃতি মুখরা বটে, কিন্তু তিনি যে কৰ্কশা,-এ সত্য ওস্তান্দজিরা কোথা থেকে উদ্ধার করলেন ? এমন খেয়ালীও দু'প্রাপ্য নয়, যাদের একটী তান বার করতে কণ্ঠের প্রসব-বেদন উপস্থিত হয়। কেউ কেউ বা তান গাঁজার ধোয়ার মত নাক দিয়ে ছাড়তে বাধ্য হন। স্বরের উৎপত্তিস্থান কণ্ঠ, মুর্ভা মণিপদ্ম, নাভিপদ্মে যেখানেই হোক না, তার বহিস্ক্রমণের পথ যে নাসিক