পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

a 8 সবুজ পত্ৰ छ्त्रांत्रिंनी ७ कांर्डि, s७३७ আর্টকে রক্ষা করবার উপায়, হয় তাকে কণ্ঠস্থ নয় লিপিস্থ করা। যতদিন না মানুষে অক্ষরের আবিষ্কার করে, ততদিন কাব্য কিম্বা সঙ্গীত কণ্ঠস্থ করে’ রাখা ব্যতীত তা রক্ষা করবার উপায়ান্তর নেই। আমাদের দেশে স্বরলিপি ছিল না বলে’, আবহমান কাল সঙ্গীত কণ্ঠস্থ করেই রক্ষা করা হচ্ছে। সুতরাং কোন একটি সর্বাঙ্গ সুন্দর গীতকে উক্ত উপায়ে রক্ষা করতে হ’লে-কণ্ঠস্থকারকে তার একসুর ও বদল করবার অধিকার দেওয়া যেতে পারে না ; যেমন বেদমন্ত্রের এক অক্ষরও বদল করবার অধিকার সেকালে বেদজ্ঞ ব্ৰাহ্মণকে দেওয়া হয় নি। লিপিকরকে ইচ্ছামত শকুন্তলার পরিবর্তন করুবার স্বাধীনতা কোনও কাব্যভক্ত লোক দিতে পারেন না । তানসেনের দরবারী-কানাড়া যদি রক্ষা করতে হয়-তাহলে র্তার অপেক্ষা নিকৃষ্ট গায়ককে তার অঙ্গহানি করবার অধিকারে বঞ্চিত করতে হয়। সঙ্গীতকে এইভাবে কণ্ঠস্থ করে রক্ষা করবার সুফল হয়েছে এই যে, পূর্বাচাৰ্য্যদের রচিত অনেক গান আজও সশরীরে বর্তমান আছে। যথার্থ আটিষ্টের হাতে পড়লে সে শরীরে আবার প্রাণ প্ৰতিষ্ঠিত হয় । অপর পক্ষে এর কুফল হয়েছে এই যে, আমাদের গুণীর দল সব অল্পবিস্তর pedant হয়ে পড়েছে; প্ৰাণ দূরে থাক, সঙ্গীতের দেহ পৰ্যন্তও তঁদের কাছে উপেক্ষণীয়, তঁরা শুধু তার কঙ্কাল নিয়েই নাড়াচাড়া করেন । সঙ্গীতের সঙ্গে কাব্যের প্রভেদ এই যে, কাব্য যে খুসি সেই মুখস্থ করতে পারে, কিন্তু সঙ্গীত অধিকারী ব্যতীত অপর কেউ কণ্ঠস্থ করতে