পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৬৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(988 . . गयूख १यों गंन, ३७३७ লাভ করিয়াছে, যে যাহাঁদের সাক্ষাৎসম্বন্ধে স্পেন্সারের লেখার সহিত কোনও দিন কোনও পরিচয় নাই, তঁহাদেরও এই মতের সত্যতা সম্বন্ধে বিন্দুমাত্ৰ সংশয় নাই। এবং বোধ হয়। এই মতটা পোষণ করা আধুনিকতা ও বৈজ্ঞানিকবুদ্ধির লক্ষণ বলিয়াই শিক্ষিত সমাজে গণ্য ও মান্য। কিন্তু মতটা আগাগোড়া মিথ্যা। পৃথিবীতে জীবশরীরের ক্রমবিকাশের নিয়মের সহিত মানুষের সভ্যতার ক্রমোন্নতির কোনও সম্পর্ক নাই। এই দুই ব্যাপারের নিয়ম ও প্রণালী সম্পূর্ণ পৃথক, এবং পৃথক বলিয়াই অসভ্য শিশুকে শিক্ষা দিয়া সুসভ্য মানুষ করা সম্ভব হয়, এবং পৃথক বলিয়াই সভ্য মানুষের সমাজে শিক্ষা এতটা স্থান জুড়িয়া আছে • যদি সত্যই Organic Evolution-43 f(a) মানব সভ্যতার বিকাশ হইত। তাহা হইলে মানুষের জীবনে শিক্ষার কোনও স্থান থাকিত না ; বয়োবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সভ্যতালব্ধ সমস্ত বিদ্যা শিশুর মনে আপনিই স্ফুরিত হইত এবং যে হতভাগ্যের হইত না স্বয়ং ফ্রোবেলও সারা জীবন শিক্ষা দিয়া তাহাকে বর্ণের পরিচয় করাইয়া দিতে পারিতেন না । Organic Evolution-A3 (T vTİÇs Heredity v7প্রত্যঙ্গহীন, উদর সর্বস্ব জীবানু হইতে যে পৃথিবীতে ক্রমে মানুষের জন্ম হইয়াছে ইহার গোড়ার কথা এই যে, জনক জননীর দেহের ও মনের ধৰ্ম্ম সন্তানে সংক্ৰমিত হয় । ফলে যখন জনক জননীর শরীরে বা মনে নূতন কিছুর আবির্ভাব হয় তখন তাহদের সন্তান, অন্বয়ানুসারে সেই নূতনত্ব লাভ করে। যদি জীবন-সংগ্রামে এই মূতন কিছুর দ্বারা কোনও সুবিধা হয় তবে যাহাদের সেটা আছে তাহার সাহায্যে সেই শ্রেণীর প্রাণীর মধ্যে তাহারাই বাচিয়া থাকে এবং বংশ