পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৬৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সবুজ পত্ৰ पैjन्, &७२७ وه وه ভগবান । কিন্তু এই জ্যোৎসাবিদ্বেষ থেকেই এদের প্রকৃত মনোভাব বোঝা যায়। এ রাগটা আসলে আলোর উপর রাগ । জ্ঞানের আলোক যখন আমাদের চোখে পুরোপুরি সয় না।--তখন রূপের আলোক যে মোটেই সইবে না, তাতে আর বিচিত্র কি ? জ্ঞানের আলো বস্তুজগৎকে প্ৰকাশ করে, সুতরাং এমন অনেক বস্তু প্ৰকাশ করে, যা আমাদের পেটের ও প্ৰাণের খোরাক যোগাতে পারে; কিন্তু রূপের আলো শুধু নিজেকেই প্ৰকাশ করে, সুতরাং তা হচ্ছে শুধু আমাদের চোখের ও মনের খোরাক । বলা বাহুল্য উদর ও প্ৰাণ protoplasm-এরও আছে,-কিন্তু চােখ ও মন শুধু মানুষেরুই আছে। সুতরাং যারা জীবনের অর্থ বোঝেন একমাত্র বেঁচে থাকা, এবং তর্জন্য উদরপূৰ্ত্তি করা,—তাদের কাছে জ্ঞানের আলো গ্ৰাহ হলেও, রূপের আলো অবজ্ঞাত। এ দুয়ের ভিতর প্রভেন্দু ও বিস্তর। জ্ঞানের আলো সাদা ও একঘেয়ে, অর্থাৎ ও হচ্ছে আলোর মূল ;-অপরপক্ষে রূপের আলো রঙীন ও বিচিত্র, অর্থাৎ আলোর ফুল। আদিম মানবের কাছে ফুলের কোন ও আদর নেই—কেননা ও বস্তু আমাদের কোনও আদিম ক্ষুধার নিবৃত্তি করে না ; SumitaBot (আলাপ)ফুল আর যাই হোক, চর্ব চোস্য কিম্বা লোহ C* = ! ( br ) এ সব কথা শুনে, আমার বৈজ্ঞানিক বন্ধুরা নিশ্চয়ই বলবেন যে, আমি যা বলছি সে সব জ্ঞানবিজ্ঞানের কথা নয়-সেরেফ কবিত্ব । বিজ্ঞানের কথা এই যে, যে আলোকে আমি সাদা বলছি, সেই হচ্ছে এ বিশ্বের একমাত্ৰ অখণ্ড আলোঁ; সেই সমস্ত-আলো refracted অর্থাৎ