পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৬৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় বর্ষ, একাদশ সংখ্যা রূপের কথা ܘ݂ ܠ ݂ ব্যস্ত হয়েই আমাদের চোখে বহুরূপী হয়ে gਸ਼ । তথাস্ত । এই refraction-এর একাধারে নিমিত্ত এবং উপাদান-কারণ হচ্ছে, পঞ্চভূতের বহিভূত ইথার নামক রূপরসগন্ধম্পর্শশব্দের অতিরিক্ত একটি পদার্থ। এবং এই হিল্লোলিত পদার্থের ধৰ্ম্ম হচ্ছে—এই জড়জগৎটাকে উৎফুল্ল করা, রূপান্বিত করা। রূপ যে আমাদের স্কুলশরীরের কাজে লাগে না, তার কারণ বিশ্বের স্কুল-শরীর থেকে তার উৎপত্তি হয় নি। আমাদের ভিতর যে সূক্ষা-শরীর অর্থাৎ ইথার আছে, বাইরের রূপের স্পর্শে সেই সূক্ষম-শরীর স্পন্দিত হয়, আনন্দিত হয়, পুলকিত হয়, ওস্ফুটিত হয়। রূপ-জ্ঞানেই মানুষের জীবন্মুক্তি, অর্থাৎ স্কুল-শরীরের বন্ধন হতে মুক্তি। রূপস্তান হারালে মানুষ আজীবন পঞ্চভূতেরই দাসত্ব করবে। রূপবিদ্বেষটা হচ্ছে আত্মার প্রতি দেহের বিদ্বেষ,-আলোর বিরুদ্ধে অন্ধকারের বিদ্রোহ। রূপের গুণে অবিশ্বাস করাটা নাস্তিকতার প্রথম সূত্র। ( . ) ইন্দ্ৰিয়জ বলে বাইরের রূপের দিকে পিঠা ফেরালে, ভিতরের রূপের সাক্ষাৎ পাওয়া কঠিন, কেননা ইন্দ্ৰিয়ই হচ্ছে জড় ও চৈতন্যের একমাত্ৰ বন্ধনসূত্র। এবং ঐ সূত্রেই রূপের জন্ম। অন্তরের রূপ ও যে আমাদের সকলের মনশচক্ষে ধরা পড়ে না, তার প্রমাণস্বরূপ একটা চলতি উদাহরণ নেওয়া যাক । রবীন্দ্ৰনাথের লেখার প্রতি অনেকের বিরক্তির কারণ এই যে, সে লেখার রূপ আছে। রবীন্দ্ৰনাথের অন্তরে ইথার আছে, তাই সে NCR fUTS sÇ3 CỊ TstÇ4 Tettet refracted TKG TONItÇ7, Vel