পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সবুজ শৰ জ্যৈষ্ঠ, ১৩২৫ করে, তার এক লাইব্রেরী প্রমাণ আমি যেখানে বলাে, সেই সাহিত্যের আদালতে দাখিল করে দিতে পারি। তার দেদার দলিল আমার ঘরেই মজুত আছে। যদি জিজ্ঞাসা করে, এই সব বাজে বকুনি পয়সা খরচ করে সংগ্রহ করার প্রয়ােজন কি ? বছি। ইতিহাস মাত্রেই যে উপন্যাস এবং উপন্যাস মাত্রই যে ইতিহাস এ আমার চিরকেলে বিশ্বাস। এবং এ বিশ্বাসের অন্ততঃ প্রথম পদটা সুপ্রতিষ্ঠিত করবার জন্য, আমাদের চোখের সুমুখে, দিনের পর দিন, ইতিহাস যে কি পদ্ধতিতে তৈরি করা হচ্ছে তার প্রমাণ জড় করছি। এত খেলাপ এজাহার মানুষে বোধ হয় আদালতেও দেয় না। তবে বৈজ্ঞানিক- ইতিহাস যে কাঠালের আমসত্ত সে জ্ঞান এক বৈজ্ঞানিক ছাড়া আর সকলেরই আছে। এতেই বাঁচাও। অৰ্মাণ দেশে Treitsche যে এত লােকমান্ত এবং তার ইতিহাস যে এত লােকপ্রিয়, তার একমাত্র কারণ তিনি ছিলেন জন্মকাল। কারও কথা তার কাণে ঢোকে নি বলে তার কথা জৰ্ম্মাণির সকলের কাণে ঢুকেছে। শুধু চোকে নি, কাণের ভিতর দিয়ে মরমে পশেছে, আকুল করে জর্মাণের প্রাণ। তিনি যদি fact-এর বড় একটা ধার ধারতেন তাহলে কি তিনি অমন ইতিহাস রচনা কতে পারতেন? দেখতে পাচ্ছ এক কথা থেকে আর এক কথায় গিয়ে পড়লুম। চিঠি লেখার দোষই এই যে, তা লিখতে লিখতে লেখার খেই হারিয়ে যায়। আমি যা বলতে চেয়েছিলুম সে হচ্ছে এই যে, এযুদ্ধ যে ক্ষেত্রেই পঞ্চত্ব পাক, অতীতে ইউরোপের অনেক যুদ্ধেরই ঐ ফ্রান্স ও অৰ্মাণীর সীমান্ত প্রদেশেই গাের হয়েছে। সেকালের যুদ্ধ জমির অন্য করা হত বলে সেকালের ইতিহাস জিওগ্রাফীর উপরেই গড়ে