পাতা:সমালোচনা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৪

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
২০
সমালোচনা।

ভাবটা নিকটে দেখিতে পাই, সেই ভাবটাই যদি বড় করিয়া না আঁকি ও তাহার বিপরীত দিকের সীমান্ত যদি অনেকটা ক্ষুদ্র, অনেকটা ছায়াময়, অনেকটা অদৃশ্য করিয়া না দিই- তবে তাহাতে কোন উদ্দেশ্যই ভাল করিয়া সাধিত হয় না; না সমস্তটার ভাল ছবি পাওয়া যায়, না একাংশের ভাল ছবি পাওয়া য়ায়। এইজন্যই লেখক-চিত্রকরদিগকে পরামর্শ দেওয়া যায়, যে যে-ভাবটাকে কাছে দেখিতেছ তাহাই বড় করিয়া আঁক; ভাবিয়া চিন্তিয়া, বিচার করিয়া, সত্যের সহিত পরামর্শ করিয়া, ন্যায়কে বজায় রাখিবার জন্য তাহাকে খাট করিবার কোন আবশ্যক নাই।


বিজ্ঞতা।

 সৎকর্ম-অনুষ্ঠানের অনেক বাধা আছে, কিন্তু সকলের চেয়ে বোধ করি একটি গুরুতর বাধা আছে! যখন বড় বড় বিজ্ঞগণ ঠোঁট টিপিয়া, চোখে চশমা আঁটিয়া, শিশু অনুষ্ঠানটিকে ঘিরিয়া বসেন– সোজা সোজা কাজের মধ্য হইতে বাঁকা বাঁকা উদ্দেশ্য বাহির করিতে থাকেন ও পরস্পর চোখ-টেপাটিপি করিয়া বলিতে থাকেন “ওহে, বুঝেছ এ সমস্ত কেন?” তখন বোধ করি উৎসাহের রক্ত জল হইয়া যায়, উদ্যমের হাত পা শিথিল হইয়া পড়ে। এই সকল তীক্ষ্মনাসিকা ক্ষুরোজ্জ্বলচক্ষু ধারালো পেঁচালো-বুদ্ধি-গণ তিল হইতে তাল, সামান্য হইতে অসামান্য, সৎ হইতে অসৎ আবিষ্কার করিয়া সদনুষ্ঠানের