পাতা:সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী.pdf/২১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৯৮
সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি

সার ওয়াল্টার স্কট তিনবার তাঁর ‘গর্ব ও কুসংস্কার’ পড়েছিলেন। তিনি স্বীকার করেছিলেন বড় বড় ঘটনা নিয়ে বড় বড় কথা আমি কারো চেয়ে মন্দ লিখি না, কিন্তু অতি সাধারণ বিষয়বস্তু এবং চরিত্রকে যে নিপুণ স্পর্শ শুধু সত্যনিষ্ঠা এবং সহৃদয়তার জোরে অপূর্ব আকর্ষণীয় বস্তু করে তোলে, সে শক্তি আমার নেই। খৃষ্টীয় আঠারোশ’ সতেরো সালে মাত্র বিয়াল্লিশ বছর বয়সে জেনের মৃত্যু হয়। ইতিমধ্যে ইংলণ্ডের মানসক্ষেত্রে এক যুগপরিবর্তন হয়ে গেছে। জেন পোর্টার নাম্নী এক লেখিকা শুধু নারী বলেই তাঁর ‘ওয়ারস্‌ নগরের থ্যাড্‌ডিয়ম’ লিখে আঠারোশ’ তিন খৃষ্টাব্দে প্রচুর সম্মান লাভ করেন। উর্টেমবের্গের গ্রাণ্ড ডিউক তাঁকে সেণ্ট জোয়ালিসের ‘পূজারিণী’ উপাধি দেন। আজ তাঁর বইয়ের পূর্বসমাদর না থাক্‌লেও স্কটের বহুপূর্বে তিনি ‘স্কটল্যাণ্ডের নেতা’ লিখে পথ দেখিয়েছেন, একথা মানতে হয়। তাঁর বোন ‘আনামারিয়া’ সে যুগে যথেষ্ট সম্মান পেয়েছিলেন। আজ তাঁর বই কেউ পড়ে না। এঁদের পরবর্তী লেখিকা মেরী মিটফোর্ড কবিতা, নাটক, গ্রাম্যচিত্র সব রকম লেখাই লিখেছেন। লেখাই ছিল তাঁর জীবিকা উপার্জনের উপায়। খৃষ্টীয় সতেরোশ’ সাতাশি সালে জন্মে আঠারোশো পঁচাশি সালে তিনি মারা যান। তাঁর দশবছর বয়সে তাঁর নামে লটারির টিকিট কিনে তাঁর বাবা তিনলক্ষ টাকা পেয়েছিলেন। সে টাকা তিনি দু’দিনে উড়িয়ে দেন। এদিকে সুদীর্ঘ জীবন মেরীকে কাটাতে হয়েছিল তাঁর লেখনীর উপর নির্ভর করে। ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম বিখ্যাত লেখিকা মিসেস এলিজাবেথ গ্যাস্কেলের