পাতা:সাহিত্য-চিন্তা - কুমুদিনী বসু.pdf/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১৪
সাহিত্য-চিন্তা

জানিয়া স্বয়ংই তত্তৎ বিকার হইতে বিমুক্ত হইয়া শাস্তি লাভ করেন।”

 অষ্টাবক্র সংহিতা ও ঠিক এই কথাই বলেন,—“তুমি যদি এই শরীরকে আত্মা হইতে বিভিন্ন বোধ করিয়া সেই চিৎস্বরূপে অবস্থান করিতে পার তবে এখনই সুখী, শান্ত ও বন্ধমুক্ত হইতে পারিবে।”

 গীতা বলিয়াছেন,— “শ্রদ্ধাবান, তৎপরায়ণ জিতেন্দ্রিয় ব্যক্তি জ্ঞান লাভ করেন, জ্ঞান লাভ করিয়া অতি শীঘ্র মোক্ষ প্রাপ্ত হন।”

 এক্ষণে দেখা গেল তত্ত্বজ্ঞান ভিন্ন গ্রন্থাদি অধ্যয়ন করিলে কোন ফল নাই। তাহাতে কিছুমাত্র অজ্ঞানতা বিনষ্ট হয় না। হৃদয় মধ্যে সেই পরা বিদ্যার যে উন্মেষ —জীবাত্মার মোহ নিদ্রার সুপ্তি হইতে যে জাগরণ— অনন্ত বিষয় বাসনাতে অচৈতন্য আত্মার যে চিদ‍্বস্তু লাভের আকাঙ্ক্ষার চেতনা তাহার নামই জ্ঞান।

 হিন্দুসমাজে ভগবতী পূজার নিমিত্ত প্রথম উদ্বোধন আবশ্যক। নতুবা পূজা হয় না। ইহাদ্বারা আমরা এক চমৎকার শিক্ষা লাভ করিয়া থাকি। আমাদের আত্মা ও তত্ত্বজ্ঞানে উদ্বুদ্ধ না হইলে ব্রহ্মপূজা অসম্ভব। তত্ত্বজ্ঞানের ভিত্তির উপর ভক্তি প্রতিষ্ঠিত করিতে না পারিলে