পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/১৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সংক্ষিপ্ত জীবনী কামিনী রায়ের জীবদ্দশায়, ১৩১৭ সালের জ্যৈষ্ঠ সংখ্য ভারত পত্রিকায় “আলো ও ছায়া-রচয়িত্ৰী” নামে একটি সুলিখিত প্রবন্ধ প্রকাশিত হয় ; ইহা সম্ভবতঃ সম্পাদিক স্বর্ণকুমারী দেবীর রচনা । ইহা হইতে কামিনী রায়ের সংক্ষিপ্ত জীবনী অংশ নিম্নে উদ্ধৃত করিতেছি । “১৮৬৪ খ্ৰীষ্টাব্দের ১২ই অক্টোবর বাখরগঞ্জ জেলার অন্তর্গত বাসগু! গ্রামে এক মধ্যবিত্ত বৈদ্য-পরিবারে কামিনী দেবীর জন্ম হয় । তাহার পিতা স্বনামখ্যাত গ্রন্থকার চণ্ডীচরণ সেন । কামিনী দেবীর পিতামহ ও পিতামহী অতিশয় ধৰ্ম্মপ্রাণ ও ভাবুক প্রকৃতির লোক ছিলেন । তাহদের জীবনের প্রভাব তাহাদের পুত্রের ও কিয়ুৎপরিমাণে পৌত্রীর জীবনে অমুরঞ্জিত হইয়াছে।. কামিনীর চারি বংসর বয়সে লেখাপড়া আরম্ভ হয় । মাতার নিকটেই তিনি বর্ণপরিচয় ১ম ভাগ ও শিশুশিক্ষা ২য় ভাগ শেষ করেন । দেড় বৎসর ধরিয়া শিশুশিক্ষাখানি ক্রমাগত পড়িতে পড়িতে বইখানি আছোপান্ত র্তাহার মুখস্থ হইয়া গিয়াছিল ।••• . স্কুলে আসিবার কিছু দিন পরেই অপার প্রাইমারী পরীক্ষা দিয়া তিনি প্রথম বিভাগের প্রথম স্থান পাইলেন । পিতা তাহাকে গণিত এমন সুন্দর শিখাইয়াছিলেন যে, ক্লাসে সে সময়ে কেহই গণিতে তাহার সমকক্ষ ছিল না । তাহদের গণিতের শিক্ষক বাবু তামাচরণ বস্থ উহাকে গণিতের পারদর্শিতার জন্ত