পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/২৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানকুমারী বস্থ ও বাংলা-সাহিত্য સ્વ: আর কেন ডাকো ! যে যুগে মা বীণাপাণি করেছিল। পূজারিণী সে যুগের বীণাতান কেন মনে রাখে । ভালবেসেছিলে বুঝি, তাই এ সায়াহ্নে খুজি পুনঃ আসিয়াছ কাছে,-নীরবেই থাকো ! সে যে গো অনেক দিন নাহি তার কোন চিন, সে পুরানো স্মৃতি কেন আজি বুকে মাখো ! সে বসন্ত, সে বরষা, সে আনন্দ, সে ভরসা, আঁধারে মিলায়ে গেছে, আর পাবে নাকে ! এখন কিসের দাবী ? হারায়ে গিয়াছে চাবি, ভেঙে গেছে বীণা বঁাশী—আর হবে নাকে ! আজি বৈতরণী নীরে তরুণী লাগিছে তীরে ডাকিছে পারের মাঝি,—সবে সুখে থাকে| ! বিদায়, বিদায়, ভাই ! আর কেন ডাকো ! মানকুমারী বসু ও বাংলা-সাহিত্য বাংলা দেশে যে-কয় জন মহিলা-কবি সৰ্ব্বজনবিদিত হইবার সৌভাগ্য লাভ করিয়াছিলেন, মধুস্থদন-ভ্রাতু-পুত্ৰী কবি মানকুমারী বস্থ তাহাদের অন্যতম । তিনি দীর্ঘ ষাট বৎসর কাল বাংলা-সাহিত্যের সেবা করিয়াছিলেন এবং রবীন্দ্রনাথের জন্মের মাত্র দুই বৎসর পরে জন্মগ্রহণ করিয়া রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুর দুই বৎসর পর পর্য্যন্ত জীবিত ছিলেন। অর্থাৎ আমাদের কালেও বিবিধ পুস্তক ও সাময়িক-পত্রের মারফৎ তিনি সাধারণ বাঙালী পাঠক-সমাজের সহিত যোগসুত্র রাথিতে পারিয়াছিলেন । র্তাহার প্রসিদ্ধ কবিতাগুলি প্রধানতঃ বিয়োগবেদনায়ুসঞ্জাত । মাত্র কুড়ি ।