পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সংক্ষিপ্ত জীবনী গত শতাব্দীর মধ্যভাগ হইতে বঙ্গমহিলাদের কেহ কেহ কাব্য রচনা করিয়া ছাপার হরফে প্রকাশ করিতে আরম্ভ করেন । ১৮৫৬ খ্ৰীষ্টাব্দে কৃষ্ণকামিনী দাসী-রচিত ‘চিত্তবিলাসিনী’ নামে একখানি ক্ষুদ্র কাব্য প্রকাশিত হয় । কবিবর ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত তৎসম্পাদিত 'সংবাদ প্রভাকরে’ (২৮ নবেম্বর ) ইহার অংশ-বিশেষ উদ্ধত করিয়া আনন্দ প্রকাশ করিয়াছিলেন । গুপ্ত-কবি স্বীয় পত্রে কুলকস্তাদের রচনা মধ্যে মধ্যে প্রকাশ করিয়া তাহাদের উৎসাহ দিতেন । ৫ জানুয়ারি ১৮৫৮ তারিখের ‘সংবাদ প্রভাকরে অনঙ্গমোহিনী দাসীর পতিবিরহ বিষয়ক একটি দীর্ঘ কবিতা দেখিতে পাই । ১৮৫৮-৫৯ খ্ৰীষ্টাব্দের ‘সংবাদ প্রভাকরে “ঠাকুরাণী দাসী৷” এই ছদ্ম নামে এক সন্ত্রাস্ত বিপ্ৰ-বিধবা কবিতা লিখিয়া যথেষ্ট সুনাম অর্জন করিয়াছিলেন । * প্রভাকরে’ প্রকাশিত র্তাহার একটি কবিতার চরণ এইরূপ :– ছোট ছোট তরুবর, ধরে বেশ মনোন্তর গলে পরি জোনাকির হার । গুপ্ত-কবি কবিতাটির উচ্ছসিত প্রশংসা করিয়া লিখিয়ছিলেন : আমরা একাল পর্যস্ত কত কত প্রাচীন কবির প্ররচিত “সন্ধ্যাবর্ণন” পাঠ করিলাম, কিন্তু তরুণ তরু গলদেশে জোনাকির হার ধারণপূৰ্ব্বক সুচারু শোভা সঞ্চার করিতেছে, + ঠাকুরাণ দাসীর রচনার নিদর্শন আমি পঞ্চপুষ্প' ( আশ্বিন ১৩৩৮) ও 'দেশ' পত্রিকায় (৩য় বর্ষ, ১ম সংখ্যা ) প্রকাশ করিয়ছি। অনঙ্গমোহিনী দাসীর রচনাটিও ৩য় বর্ষের দেশে’ মুত্রিত হইয়াছে।