নতুন আর পুরোনো হোতে পেল কই। হাঁচতে হাঁচতে বস্তিটা বেবাক ফাঁক হয়ে গেছে। পড়ে আছে জালা জালা সবুজ নস্যি। ব্যবহার করবার যোগ্য নাক বাকি নেই একটাও।
এ তোমার আগাগোড়াই বানানো। বিজ্ঞানের ঠাট্টার পক্ষেও এটা বাড়াবাড়ি শোনাচ্চে। এই হুঁহাউ দ্বীপের ইতিহাস বানিয়ে তুমি পুপেদিদিকে তাক লাগিয়ে দিতে চাও। ঠিক করেছিলে তোমার এই অভাগ। “সে”-নাম-ওয়ালাকেই বৈজ্ঞানিক সাজিয়ে সারা দ্বীপময় হাঁচিয়ে হাঁচিয়ে মারবে। বর্ণনা করবে, আমি ঘাড়-নাড়ানাড়ির ঘটা ক’রে ঘটোৎকচ বধ পাঁচালির আসর জমাচ্চি কী ক’রে। হয়তো কোন্ হামাগুড়িওয়ালি মনোহর ঘাড়-নাড়ানির সঙ্গে আমার বিয়ে দিয়ে বসবে, ঘাড়-নাড়ামন্ত্রে কনে নাড়বে মাথা বাঁদিক থেকে ডানদিকে, আর আমি নাড়ব ডান দিক থেকে বা দিকে। সপ্তপদীগমন হয়ে উঠবে চতুর্দ্দশপদী। ওদের সেনেটহলে ঘাড়-নাড়া ভাষায় যখন ওরা সারে সারে পরীক্ষা দিতে বসেছে, তার মধ্যে আমাকেও বসাবে এক কোণে। আমার উপর তোমার দয়ামায়া নেই, দেবে ফেল করিয়ে। কিন্তু ওদের স্পোর্টিংক্লাবে হামাগুড়ি-রেসে আমাকেই পাওয়াবে ফাষ্ট্ প্রাইজ। ব’লে দিচ্চি, পুপেদিদিকে এমন ক’রে হাসাতে পারবে মনেও কোরো না।
বেশি বোকো না। চাণক্য পণ্ডিত শ্রেণীবিশেষের আয়ু-বৃদ্ধির জন্যে বলেছেন,
তাবচ্চ বাঁচতে মূর্খ যাবৎ ন বক্বকায়তে।
তুমি তো সংস্কৃত কিছু শিখেছিলে?
যতটা শিখেছিলেম, ভুলেছি তার দেড়গুণ ওজনে। নয়া-চাণক্য জগতের হিতের জন্য যে উপদেশ দিয়েছেন সেটাও তোমার জানা দরকার, দাদা, ছন্দ মিলিয়েই লেখাঃ—
তখন্ হাঁপ ছাড়িয়া বাঁচি যখন পণ্ডিৎ চুপায়তে।
১৩