পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/২৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিন্দুধর্মের সাধারণ ভিত্তি 년) সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়, তাহাতে ক্ষতি নাই। এই বিষয়টি মনে রাখিলে আমরা ভাল করিয়া বুঝিতে পারিব যে, জাতীয় কল্যাণের জন্য অতীতকালে যেমন, বর্তমানকালেও তেমনি, চিরকালই তেমনি আমাদিগকে প্রথমে আমাদের জাতির সমগ্র আধ্যাত্মিক শক্তি খুজিয়া বাহির করিতে হইবে। ভারতের বিক্ষিপ্ত আধ্যাত্মিক শক্তিগুলিকে একত্র করাই ভারতের জাতীয় একত্ব-সাধনের একমাত্র উপায় । যাহাদের হৃদয়তন্ত্রী একই প্রকার আধ্যাত্মিক স্বরে বাধা, তাহাদের সম্মিলনেই ভারতের জাতি গঠিত হইবে। ভদ্রমহোদয়গণ, এদেশে সম্প্রদায়ের অভাব নাই। এখনই যথেষ্ট রহিয়াছে, আর ভবিষ্যতেও অনেক হইবে। কারণ আমাদের ধর্মের ইহাই বিশেষত্ব যে, মূলতত্ত্বগুলি এত উদার যে যদিও ঐগুলি হইতেই অনেক বিস্তারিত ও খুঁটিনাটি ব্যাপারের উদ্ভব হইয়াছে, কিন্তু ঐগুলি সেই মূল তত্ত্বসমূহের কার্যে পরিণত রূপ—যে-তত্ত্বগুলি আমাদের মাথার উপরের আকাশের মতো উদার এবং প্রকৃতির মতো নিত্য ও সনাতন । অতএব সম্প্রদায়গুলি যে স্বভাবতই চিরদিন থাকিবে, তাহাতে সন্দেহ নাই, কিন্তু তাই বলিয়া সাম্প্রদায়িক বিবাদের কোন প্রয়োজন নাই। সম্প্রদায় থাকুক, সাম্প্রদায়িকতা দূর হউক। সাম্প্রদায়িকত। দ্বারা জগতের কিছু উন্নতি হইবে না, কিন্তু সম্প্রদায় না থাকিলেও জগৎ চলিতে পারে না । একদল লোক তো সব কাজ করিতে পারে না । অনস্তপ্রায় শক্তিরাশি অল্প কয়েকটি লোকের দ্বারা কখনই পরিচালিত হইতে পারে না । এই বিষয় বুঝিলেই আমরা বুঝিব, কি প্রয়োজনে আমাদের ভিতর সম্প্রদায়ভেদরূপ এই শ্রমবিভাগ অবশুম্ভাবিরূপে আসিয়াছে। বিভিন্ন আধ্যাত্মিক শক্তিসমূহের স্বপরিচালনার জন্য সম্প্রদায় থাকুক, কিন্তু আমাদের পরস্পরের বিবাদ করিবার কি প্রয়োজন আছে, যখন আমাদের অতি প্রাচীন শাস্ত্ৰসকল ঘোষণা করিতেছে যে, এই ভেদ আপাতপ্রতীয়মান, এই-সকল আপাতদৃষ্ট বিভিন্নতাসত্ত্বেও ঐ-সকলের মধ্যে মিলনের স্বর্ণসূত্র রহিয়াছে, ঐগুলির মধ্যেই সেই পরম মনোহর একত্ব রহিয়াছে। আমাদের অতি প্রাচীন গ্রন্থসমূহ ঘোষণা করিয়াছেন, ‘একং সদ্বিপ্রা বহুধা বদস্তি ? জগতে এক বস্তুই বিদ্যমান— ঋষিগণ র্তাহাকেই বিভিন্ন নামে বর্ণনা করেন । অতএব যদি এই ভারতে— যেখানে চিরদিন সকল সম্প্রদায়ই সম্মানিত হইয়া আসিয়াছেন—সেই ভারতে এখনও এই-সকল সাম্প্রদায়িক বিবাদ, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যেপরম্পর দ্বেষহিংসা . عb\- & . , "