পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/২৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিন্দুধর্মের সাধারণ ভিত্তি * デな না, যদি ভারতের সকল অধিবাসী অপর জাতিবিশেষের পোশাক-পরিচ্ছদ, আচার-ব্যবহার অনুকরণ করিত, তাহা হইলেই ভাল হইত। কয়েক বৎসরের অভ্যাস পরিত্যাগ করাই কি কঠিন ব্যাপার, তাহা তোমরা বেশ জানো । আর ঈশ্বরই জানেন, কত সহস্ৰ সহস্ৰ বৎসর ধরিয়া এই জাতীয় জীবনস্রোত এক বিশেষ দিকে প্রবাহিত হইতেছে ; ঈশ্বর জানেন তোমাদের শোণিতে কত সহস্ৰ বৎসরের সংস্কার রহিয়াছে, আর তোমরা কি সাগরে মিলিতপ্রায় এই শক্তিশালিনী স্রোতস্বতীকে ঠেলিয়া আবার হিমালয়ের সেই তুষাররাশির নিকটে লইয়া যাইতে চাও? ইহা অসম্ভব । এইরূপ করিতে চেষ্টা করিলে তোমরাই বিনষ্ট হইবে । অতএব এই জাতীয় জীবনস্রোতকে প্রবাহিত হইতে দাও। যে-সকল প্রবল অন্তরায় এই বেগবতী নদীর স্রোত অবরুদ্ধ করিয়া রাথিয়াছে, সেগুলিকে সরাইয়া দাও, পথ পরিষ্কার করিয়া দাও, নদীর খাতকে সরল করিয়া দাও, তাহা হইলে উহা নিজ স্বাভাবিক গতিতে প্রবলবেগে অগ্রসর হইবে—এই জাতি সর্ববিধ উন্নতিসাধন করিতে করিতে চরম লক্ষ্যের দিকে ছুটিয়া চলিবে । ভদ্রমহোদয়গণ, ভারতের আধ্যাত্মিক উন্নতিবিধানের জন্য আমি পুর্বকথিত উপায়গুলি নির্দেশ করিলাম। আরও অনেক বড় বড় সমস্যা আছে, সেগুলি সময়াভাবে আজ রাত্রে আলোচনা করিতে পারিলাম না—দৃষ্টান্তস্বরূপ, জাতিভেদসম্বন্ধীয় অদ্ভূত"সমস্ত রহিয়াছে। আমি সারা জীবন ধরিয়া এই সমস্যার সব দিক বিচার করিতেছি । 'ভারতের প্রায়: প্রত্যেক প্রদেশে গিয়া এই সমস্তার আলোচনা করিয়াছি, এদেশের প্রায় সর্বস্থানে গিয়া সকল জাতির লোকের সঙ্গে মিশিয়াছি ; কিন্তু তই আমি এই সমস্তার আলোচনা করিতেছি, ততই উহার উদ্দেশু ও তাৎপর্য পর্যন্ত ধারণা করিতে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হইয়৷ পড়িতেছি। অবশেষে আমার সম্মুখে যেন ক্ষীণ রশ্মিধারা পড়িতে আরম্ভ করিয়াছে, আমি সম্প্রতি ইহার মূল উদ্দেশু উপলব্ধি করিতে আরম্ভ করিয়াছি । তারপর আবার ভোজন-পানাদি-সম্বন্ধীয় গুরুতর সমস্ত রহিয়াছে। বাস্তাবুকই ইহা একটি গুরুতর সমস্যা । আমরা সাধারণতঃ ষতটা মনে করি, ইহা ততটা অনাবশ্বক নহে। আমি এই সিদ্ধাস্তে উপনীত হইয়াছি যে, 'আমরা এখন এই আহারাদি সম্বন্ধে ষে-বিষয়ে কোক দিতে যাই, তাহা এক কিম্ভূতকিমাকার ব্যাপার, উহা শাস্ত্রাচুমোদিত নহে অর্থাৎ আমরা ভোজন