স্বামী বিবেকানন্দ । সিংহের প্রসঙ্গ উঠিল। গুকগোবিন্দ সিংহকে তিনি ভারতীয় বীরবৃন্দের তালিকায় অতি উচ্চাসন প্ৰদান করিতেন। যে মহাপুরুষ ধৰ্ম্ম স্পষ্ট হিন্দুগণকে যবনধৰ্ম্মের কবল হইতে উদ্ধার করিয়া পুনরায় স্বধৰ্ম্মে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলেন, যাহাব কঠোর আত্মত্যাগ, তপশ্চৰ্য্যা ও কৰ্ত্তব্যপরাযণতা অত্যাচারমথিত শিখজাতির হৃদষে নবপ্রাণ সঞ্চয় করি যাছিল এবং যিনি বীরের ন্যায় পুতসলিল নৰ্ম্মদাতীরে আত্মজীবন বিসজ্জন দিখছিলেন। তাহার চরিত্র কীৰ্ত্তন করিতে করিতে স্বামিজী আবেগে বিহবল হইয়া পড়িতেন। বলিতেন “সওয়া লাখ পর এক চড়াউ । যব গুরুগোবিন্দ নাম শুনাউ ॥” গুরুগোবিন্দের নিকট নাম শুনিলে অর্থাৎ দীক্ষা গ্ৰহণ করিলে এক জনের বাহুতে সওয়া লক্ষ বলীর বল সঞ্চারিত { হইত। অর্থাৎ এক একজন শিষ্য লক্ষাধিক শত্রুনিপাতে সমর্থ হইতেন। বাস্তবিক স্বধৰ্ম্ম ও স্বজাতির প্রাধান্য স্থাপনকল্পে সেই মহাপুরুষের আজীবনব্যাপী পরিশ্রম কিরূপ সফলতা লাভ করিয়াছিল, সমুদ্রতরঙ্গসম মোগলচমুর সম্মুখে মুষ্টিমেয় শিখবীরের নির্ভীক আত্মদানই তাহার প্রকৃষ্ট প্রমাণ । স্বামিজীর বাক্যে শ্রোতৃগণের ধমনীতে খরতার শোণিতস্রোত বহিত, তঁাহারা দিব্যচক্ষে দেখিতেন দেশে একসময়ে কি দিন ছিল, আর আজি কি দিন আসিয়াছে। কোথায় বা সে কৰ্ম্মপ্ৰাণতা, কোথায় বা সে অটল দৃঢ়তা ! এইরূপে প্ৰত্যহ কৃত যে প্রসঙ্গ আলোচিত হইত কত যে নব নব ভাব উৎকর্ণ ግs9ፅ
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/১২১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।