পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/২৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামী বিবেকানন্দ । তারপর অৰ্জ্জুনকে বিষাদমগ্ন দেখিয়া গীতার গভীর তত্ত্ব বুঝাইতেছেন।

  • * * স্বামিজী আর একটী কথা বলিতে বড় ভালবাসিতেন। সেটা এই :-গীতিকাব্যে বিরহ, পূৰ্ব্বারাগাদি যতপ্রকার ভাবসমাবেশ সম্ভব, ক্লিষ্ণ উপাসকেবা তাহার কিছুষ্ট বাকী রাখেন নাই ।

১০ই জুন বৈকালে অলমোড়ায় শেষ কথাবাৰ্ত্ত হা-সেদিন তিনি শ্ৰীগ্রামকৃষ্ণদেবের পীড়ার বিষয বলিয়াছিলেন। কেমন করিয়া ডাঃ মহেন্দ্রলাল সরকার তাহার পীড়াকে সংঘাতিক ও সংক্রামক বলায় শিষ্যদিগের সকলের ভাবনা তইখ ছিল ও সেই ভাবনা দূর করিবার জন্য স্বামিজী কী কথা শুনিবা মাত্র স্বহস্তে পরমহংসদ্দেধের ভুক্তাবিশিষ্ট ক্ষতনিঃসৃত পুযাদি মিশ্রিত সুজির পাত্র নিঃশেষে চুমুক দিযা পান করিয়াছিলেন এই সব কথা झकेझछिल ।” এই সকল গল্প গুজবের মধ্যেও সময়ে সময়ে মনুন্য জীবনের দুৰ্ব্বিসহ কষ্টের কথা স্মরণ করিয়া স্বামিজী অত্যন্ত ব্যথিত হইতেন এবং হঠাৎ গভীর চিন্তায় মগ্ন হইয়া যাইতেন। নিজ্জন-- তার আকাঙ্ক্ষায় প্রাণ অধীর হইয়া উঠাতে ২৫শে মে তারিখে তিনি বন্ধুবান্ধব ও শিষ্যগণকে পরিত্যাগ করিয়া কয়েক দিনের জন্য একাকী আলমোড়া হইতে কিছু দূরে সীয়াদেবী নামক এক নির্জন অরণ্যপ্রদেশে প্ৰত্যহ ১০-১২ ঘণ্টা অতিবাহিত করিয়া, মুড়ার সময় তঁবুতে ফিরিয়া আসিতেন। কিন্তু তখনও লোক্ষেত্ত্বভিড় থাকাতে তাহার ভাব ভঙ্গ হইয়া যাইতে লাগিল । reg