পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামী বিবেকানন্দ । একসহস্র ছয়শত গ্ৰাণাইট প্রস্তরের স্তম্ভ দেখিতে পাওয়া যায় । এগুলি ২০০ খৃষ্ট পূৰ্ব্বাব্দে নিৰ্ম্মিত একটি সুবৃৎ নবতল পিত্তল। প্রাসাদের ভগ্নাবশেষ। এক সময়ে এই প্রাসাদের অভ্যন্তরে শুধু পুরোহিত্যদিগের জন্যই একসহস্ৰ শয়ন প্রকোষ্ঠ ছিল, তাছাড়া অন্যান্য উদ্দেশ্যে আরও বহু কক্ষ ছিল। ইহার ছাদ ছিল পিত্তলের এবং বৃহৎ সভাগৃহটী সিংহশিরোপরি অবস্থিত অনেকগুলি সুবর্ণ স্তম্ভে সুসজ্জিত ছিল । তাহার মধ্যভাগে একটি দ্বিারদ-রদনিৰ্ম্মিত সিংহাসন ও একপাশ্বে একটি কনকখাচিত সুষ্য ও অপর পাশ্বে একটি রজাতময় চন্দ্ৰম বিরাজিত ছিল । পূৰ্কেৰাক্ত অশ্বখ বৃক্ষতলে স্বামিজ দুই তিন সহস্ৰ শ্রোতার সমক্ষে উপাসনা’ সম্বন্ধে একটি সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা দিলেন। তিনি ইংরাজিতে বলিতে গাগিলেন আর দ্বিভাষিগণ সঙ্গে সঙ্গে তাহা তামিল ও সিংহলী ভাষায় অনুবাদ করিয়া বুঝাইয়া দিতে লাগিল। তিনি তঁহার শ্রোতৃবৰ্গকে অসার পূজাড়ম্বর ত্যাগ করিয়া বেদবিহিত মার্গের প্রতি মনোযোগী হইতে উপদেশ দিলেন । এই পৰ্যন্ত বলিবার পর দলে দলে বৌদ্ধ ভিক্ষু ও গৃহস্থ সেখানে সমবেত হইয়া ঢাকা, ঢোল, কঁাসির, ঘণ্টা প্রভূতি বাজাইয়া এমন ' বীভৎস শব্দ আরম্ভ করিল যে স্বামিজী থামিতে বাধ্য হইলেন। তিনি না থাকিলে এবং হিন্দুদিগকে ধৈৰ্য্য সহকারে সহ্য করিবার উপদেশ না দিলে সেদিন ওখানে হিন্দু ও বৌদ্ধদিগের মধ্যে বিষম দ্বন্দ্ব হইত। কিন্তু তিনি ধৰ্ম্মের সাব্বভৌমিকতা বুঝাইয়া দিয়া এই বৌদ্ধধৰ্ম্মপ্ৰধান স্থানে বলিলেন “ধৰ্ম্মের গোড়ামী এবং তাহা লাইয়া বিবাদ বিসংবাদ করা নিতান্ত অজ্ঞানতার পরিচায়ক । 总8心