পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৪৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামী বিবেকানন্দ । প্রতিষ্ঠান সমূহের আদর্শ স্থানীয় বলিয়া পরিগণিত। ইহার পর রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের কাৰ্য্যক্ষেত্র ক্রমশঃ বহুবিস্তৃতি লাভ করিয়াছে এবং ধীরে ধীরে অন্যান্য সম্প্রদায়ের মধ্যেও সেবা প্ৰবৃত্তি জাগাইয়া তুলিয়াছে। তাহার ফলে আজকাল প্ৰয়াগ, বৃন্দাবন, হরিদ্বার প্রভৃতি প্ৰধান প্ৰধান তীর্থস্থানগুলিতে রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের পাশ্বেই, ব্ৰাহ্মসমাজ, আয্যসমাজ, মহাত্মা গোখলেৰ “ভারত-সেবকসম্প্রদায়” প্রভৃতি বিভিন্ন শ্রেণীর সেবাপরায়ণ যুৱকদলকে দেখিতে পাওযা যায যাহারা নিজ প্ৰাণ উপেক্ষা করিয়াও রোগ, মৃত্যু, মহামারী, বন্যা ও দুভিক্ষের সহিত অটল অধ্যবসায্য ও বীরদৰ্পে যুদ্ধ করিতে প্ৰবৃত্ত। ধন্য স্বামিজী, দ্বিতীয বুদ্ধের স্যায যাহার কারণ্যপূৰ্ণ হৃদয়ে এই শুভসংকল্প প্ৰথম অঙ্কুরিত হইয়াছিল! কিন্তু এই সকল ত্যাগব্ৰত সন্ন্যাসী, স্বামিজীর নিকট শুধু যে মুখের উপদেশ পাইয়াই এই দুরূহ “দরিদ্রণারাষণ” সেবায় জীবন উৎসর্গ করিতে অগ্রসর হইয়াছিলেন তাহা নহে। তাহারা স্বামিজীর জীবনে অহরহ এই সেবার ভাব লক্ষ্য করিয়াছিলেন। পরের ব্যথায় বিগলিত চিত্ত হইয়া পরের অশ্রুতে নিজের অশ্রু মিশাইয়া, বড় যত্নে বড় সহানুভূতিতে পরম সন্তৰ্পনে ব্যথিতেল বেদনা-পরিপ্লােত হৃদযক্ষতে শান্তির প্রলেপ লেপন করিতে দেখিয়াছিলেন । পূৰ্ববঙ্গ হইতে প্ৰত্যাগমনের পর এইরূপ একদিনকার ঘটনা শ্রদ্ধেয় শ্ৰীযুক্ত শরচ্চন্দ্ৰ চক্ৰবৰ্ত্তী মহাশয় বর্ণনা করিয়াছেন। পাঠক তাহাতেই কিঞ্চিৎ নিদর্শন পাইবেন। শরৎবাবু বলিতেছেন de GR