পাতা:স্মৃতির রেখা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আলপথে এসে ত্ৰৌছনো গেল। চানন নদীর কুল থেকে কি সুন্দর দৃশ্যটা ! গুপিবাবুর বাড়ী সেদিনটা থেকে আজ ভোর পাঁচটাতে জামদহের পথে রওনা হলাম। চাননের বঁাধ থেকে দূরে পূবদিকে তালের সারির আড়াল দিয়ে সিঁদুর ংএর অরুণ আজ দেখা দিচ্ছে—আরও দূরে ডাইনে বঁায়ে পাহাড-এধারে কাকোয়ারা ওধারে বংশীর পাহাড। পথে কেবলই দূরে দূরে পাহাড়, উঁচু নীচু ঢেউ খেলানাে লাল কঁাকরের পথ-চাননের জল স্থানে স্থানে জমে আছে—দূরে দূরে তালের সারি, শাল গাছের বন-ব্লাঙা বালির ওপর দিয়ে শীর্ণকায় নিৰ্ম্মল নদী বয়ে যাচ্ছে--সাওতাল পরগণার ছাযামযা অতি পরিচিত অথচ প্রতিবারেই নতুন-মনো-হওয়া ভূমিশ্ৰী । সন্ধা সাতটা । ডাকবাংলার টেবিলে নির্জনে বসে লিখছি । নীচের চানন নদী ওপরের পাহাড় অস্পষ্ট অন্ধকারে দেখা যাচ্ছে না।--সামনের আমি বনেব। মাথার ওপর তারা উঠেছে-লছমীপুরের ম্যানেজাব নদীয়া বাবু ও-অংশে কাছারী করছেন-প্ৰজারা কথাবাৰ্ত্তা বলছে-এই সুন্দর অপবিচাষের মধ্যে বসে মনে হ’ল কতদিন আগেকার গানটা-বিশ্ব যখন নিদ্রা মগন গগম অন্ধকার’—ঠিক এই সময়-কলকাতার বোর্ডিংট। আজ দ্বিতীয-সামনেই পূজা আসছে। ষোলই আশ্বিন। সেবার পূজা ছিল চব্বিশে । সেই সময়কাব দূৰ্বকালের সে জীবনটার সঙ্গে আজকার এই নিৰ্জন জীবনের মধ্যকার এই শালবন বেষ্টিত পাহাড় নদী তীরের ডাকবাংলু, এই নিভৃত সন্ধ্যা, এই সম্পূৰ্ণ অন্য ধরনের জীবনটা মনে পডে। আমি এই রকম অতী৩ের ও বর্তমানের এই রকম বিভিন্ন জীবনযাত্রাব কথা ভাবতে বড় ভালবাসি | বৰ্ড ভাল লাগে, কোথাব্য যেন একেবার ডুবে যাই । আজ সকালে মহিয়ারডি, লক্ড কয়লা প্রভৃতি অদ্ভুত রকমেব গ্রামণ্ডলে৷ ও অপূর্ব পথের দৃশ্য, অম্বিকাবাবুর ললিত ডেপুটীকে প্ৰসংশার কথা। অনেক দিন মনে থাকবে। কাল সকালে লছমীপুর যাবার প্রস্তাব হয়েছে।--দেখা যাক । ভগবান আশীৰ্বাদ করুন, দেওঘরে অবশ্যই পৌছে যাবে। ডাকবাংলার জলের বড় অভাব-পূরণ ছুটািছুটি করছে। নাগেশ্বর প্রসাদ, লছমী মুন্সী দেওয়ান শ্ৰীধরবাবুর নামে পত্র নিয়ে আজ সন্ধ্যান্য আসে ঘোড়ায় করে লছমীপুর চলে গেল। পায়ে এমন বড় ফোস্কা হয়েছে যে ওপথে বড় চডাই-উৎরাই শুনে একটু ভাবছি। জয়পুর পর্যন্ত মিশিরজী পথ দেখিযে নিয়ে যাবে। ठैिक श्'व्य । আমি এই সব তুচ্ছ, খুটিনাটি লিখি এই জন্যেই যে, সবশুদ্ধ দিনটাকে ও W