পাতা:স্মৃতির রেখা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুন্দর জীবন দোলা ! ধূসর পাহাড়টার ওপরকার সন্ধ্যায় অন্ধকার-ঘেরা বনরাজির মাথার দিকে চেয়ে চেয়ে এর অপূর্বতা অনুভ করে গা যেন শিউরে উঠল-চােখে জল এল । তারপর কতক্ষণ আপন মনে ঘোড়ার উপর বসে রইলাম। সন্ধ্য। যখন বেশ হয়ে গিয়েছে তখন আবার ঝর দাম টােলা দিয়েই অন্ধকার মাঠের বনঝোপের পথ বেয়ে অড়হর ক্ষেতের মধ্যে দিয়ে এসে লছমন মণ্ডলের টােলায় পৌছানো গেল। তাই এই মাত্র অন্ধকারে কাছারীর পথটােব্য বেড়াতে মনে মনে ভাবছিলাম, ভগবান আমি তোমার অন্য স্বৰ্গ চাই না-তোমার দৈবলোক পিতৃলোক বিষ্ণুলোেক-তোমার বিশাল অনন্ত নক্ষত্র জগৎ তুমি পুণ্যাত্মা মহাপুরুষদের জন্যে রেখে দিও। যুগে যুগে তুমি এই মাটীর পৃথিবীতে আমাকে নিযে এস, এই ফুল ফল, এই শোক দুঃখের স্মৃতি, এই মুগ্ধ শৈশবের মায়া জগতের মধ্যে দিয়ে বার বারা যেন আসা-যাওয়ার পথ তোমার আশীবার্বাদে অক্ষয় হয় । এই অমূল্য দানের কৃতজ্ঞতার বোঝাই বইতে পারি ন—এর চেয়ে আর কোন বড় দান ৮াইবার সাহস করবো ? বড় ভালবাসি। এই মাটীর জীবনকে-এরই মাধুৰ্য্য যে লোভী বালকের মত বার বার আস্বাদ করে সাধ মিটাতে পারি না, একে এত সহজ ছেড়ে দিতে পারি কি করে ? ৷৷ ১১ হ ডিসেম্বর ১৯২৭ ৷৷ ইংরাজী নববর্ষের প্রথম দিনটা । কত কথােহ মনে হয়, দেখতে ব্দে পাতে হুহু করে অগ্রসর হচ্ছে-এই সে দিন। ১৯২৩ সালের এসময় ওদের ওখানে পড়া.ে ৩ yDBBDDSTSLDBDSDD SJJDBJJSJDY BB BDD K D BBB SS কাল সকালে ইসমালিপুর থেকে খুব ভোরে বেরিয়ে হাতীর ওপর করে নবীন বাবু ও অমরবাবু বার হয়ে ভাগলপুর গেলাম ! সন্ধ্যার ট্রেণে অমরবাবুকে রওনা করে এসেই উদয়বাবু ও বেচুবাবুকে সঙ্গে নিয়ে সুরেনের ওখানে গান শুনতে গেলাম । বড় ভাল লাগে সুরেন বাবুর গান আমার কাছে -এমন শুদ্ধ প্ৰাচীন সুর আমি কোথাও শুনিনি-যে সব পদার সাধারণের কণ্ঠ নামে না, তাদের ওপর সুরেন বাবুর অপূর্ব দখল-সুর-লক্ষ্মীর সকল রকম মান অভিমানের খোজ তিনি রাখেন । আজ সকালে উদয় বাবু, স্টেশনে উঠিয়ে দিয়ে গেল। সত্যবাবুর ছেলে ভাদুর সঙ্গে এক সঙ্গে এলাম-ভারী সুন্দর দেখতে, বাবার মত একটু বাজে বকে, ዪöb”