পাতা:স্মৃতির রেখা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেলা গেলে বেরিয়ে রামজোতের বাগানের কাছে যেতেই জ্যোৎস উঠে গেল । রামচন্দ্ৰ সিংএর সঙ্গে কথা ক’য়ে বড় কুণ্ডীটার ধার দিয়ে নির্জন কাশ-জঙ্গলের পথে ঘোড়া চালিয়ে দিলাম। খুব জ্যোৎস্না উঠেছে। নিৰ্জন ৷ বহুদূর পয্যন্ত কেউ কোথাও নেই। শুধু কাশ” জঙ্গল, আর জলের ধার। লোধাইটােলার জঙ্গল পেরিয়ে জলাটার ওপর বড় সুন্দর জ্যোৎস্না প’ড়েছে-খানিকক্ষণ ঘোড়া ইচ্ছামত ছেড়ে দিয়ে বসে রইলাম। তারপর খুব জোরে ঘোড়া চ’ড়ে ফিরে এলাম । আজ পূর্ণিমার রাত্রি। সারাদিন ভীষণ পশ্চিমা বাতাস ব’য়েছে-এখনও সমানে বইছে । ধূলো-বালিতে চারধারা ভরপুর, পূর্ণিমার জ্যোৎস্না, বালি-ধুলোর পর্দায় স্নান ক’রে দিয়েছে— ‘ঘোলা ঘোলা জোৎস্ন। সামনের ধুধু কাশবনগুলো জ্যোৎস্নাব্য অদ্ভুত দেখাচ্ছে হাওয়ায় সুয়ে সুয়ে পড়েছে-বহুদূরে জঙ্গলে আগুন লেগেছে, সেদিকের আকাশটা রাঙা হ’য়ে উঠেছে । আর মাঝে মাঝে দাউ দাউ ক’রে লকলকে আগুনের শিখা খুব উচু হ’য়ে আকাশটাকে লেহন করতে छू96छ । বাংলাদেশের শাস্ত দৃশ্যের কাছে এই নিজন বাত্যাক্ষুব্ধ ধু ধু জ্যোৎস্নাভারা মােঠ জঙ্গলের দৃশ্য, ঐ বনের আগুন, এই ধুলো ভরা আকাশ কি অদ্ভুত মনে হয় ! ৷৷ ৬ই মার্চ, ১৯ ২৮ ৷৷ রামবাবুর ঘোড়াটা চ’ড়ে বড় আরাম পাওয়া গেল। কাল বৈকালে, পরশু, রামপুরের মাঠে একেবারে সোজা কদমচালে চ’লে গেল-আজ তেলির সাক্ষী দিতে নওগাছিয়া হ’য়ে এলাম--কি সুন্দর । লছমীপুরের ধাপাটার কাছে এসে দেখি রূপলাল সবে ধাপটি পার হচ্ছে, লোকার চামার মোট নিয়ে পিছনে । ঘোড়াটা হু হু করে উচু পাড়িটার ওপর ওঠে গেল—কি সুন্দর কদমই ধরলে ! এরকম ঘোড়া চড়া কখনো হয়নি, এ কয়দিন বেশ হ’ল। নওগাছিয়া ই দারার কাছে ঘোড়া জল খেলে-তারপর একেবারে রামবাবুদের গোলা। তারপরে ভাগলপুরে এসেই চণ্ডী বাবুদের বাড়ী এলাম। অনাদিবাবুর সঙ্গে গল্প করলাম-সন্ধ্যা হ’য়ে এসেছে। মনে হ’ল সেই পাশের পথটা-পিসিমা জল নিয়ে প্ৰথম এল-আমি বাবার সঙ্গে কলকাতা থেকে সেই প্ৰথম এলাম, -- দেখতে দেখতে कङकाव्ल झू'ब्ल ! Goethe-3|\Es ze S DIFFT YTT?--Those who cannot hope ఆర్మీ