রাতারাতি
হ’ক বাপ তো বটে। বরং খবরের কাগজে ছাপিয়ে দে, সমস্ত ছেলের দল খেপে উঠবে, বাছাধন টের পাবেন।
ঘনেন। উঁহু, তার চেয়ে জিগীষা দেবীর কাছে চল, তাঁকে ব’লে ক’য়ে আমরা একটা আশ্রম খুলব। কাগজে ছাপাব এস কে কোথায় আছ বাংলার ছেলেরা, নির্যাতিত উৎপীড়িত অসহায় বুভুক্ষু—
বাঁটলো। ঐ সঙ্গে একটা মেয়েদের বিভাগও খোলা উচিত; কি বলিস কাত্তিক?
কার্তিক করুণ স্বরে বলিল ‘বাঁটলো, হাইড্রোসায়ানিক অ্যাসিডের দাম কত রে?’
বাঁটলো। বিস্তর দাম, তার চেয়ে কেরাসিন তেল ঢের সস্তা, দশ পয়সাতেই কাজ সাবাড়।
কার্তিক। কিন্তু বড্ড জ্বালা করবে যে?
বঁটিলো। সে কতক্ষণ? একবার মরতে পারলে মোটেই টের পাবি না।
চাটুজে। মহাশয় কার্তিকের গায়ে হাত বুলাইয়া বলিলেন ‘ছি বাবা কাত্তিক, দুঃখু ক’রো না। একে বাপ, তায় বয়সে বড়, বললেই বা একটু কড়া কথা। বাপের সুপুত্তুর হ’লে সব দেবতা খুশী হন। এই দেখ, রামচন্দ্র পিতৃ-আজ্ঞায় বনে গিয়াছিলেন।’
ঘনেন। জব্দও হয়েছিলেন তেম্নি। মাথায় জটা,
৯৫