প্রেমচক্র
হাবলা বললে —‘তোদের সেই পত্রিকাটার জন্যে বুঝি?’
বঙ্কা জবাব দিলে না। সে তার দাদাকে গ্রাহ্য করে না, কারণ হাবলা একটু সেকেলে গোছের, আর বঙ্কা হচ্ছে খাজা-তরুণ। আমি বললুম —‘বঙ্কার পত্রিকার এক ফর্মা খালি রয়েছে, তুই একটা লেখা দে না হাবলা।’
হাবল। বললে—‘কবিতা চায় তো দিতে পারি। পুঁটুর বিয়ের জন্যে একটা লিখেছি, তাই একটু অদলবদল ক’রে দিলে চলবে।’
বিয়ের পদ্যে হাবলার হাত খুব পাকা। তার বন্ধুরা বলে, এ লাইনে ও-ই এখন সম্রাট্। হাবলাদের রাবণের বংশ, জেঠতুতো খুড়তুতো পিসতুতো মামাতোর অন্ত নেই, তার সমস্ত তাল সামলায় শ্রীমান্ হাবুলচন্দ্র। বছরের মধ্যে গোটা-পাঁচেক হৃদয়বাণী, গণ্ডা-দুই মর্মোচ্ছ্বাস, ছ-সাতটা প্রীতি-উপহার তাকে লিখতেই হয়। ভাষা ছন্দ ভাব তিনটেই বেশ স্ট্যাণ্ডারডাইজ ক’রে ফেলেছে। আজি কি সুন্দর প্রভাত, নীল নভে পূর্ণচন্দ্র উঠিছে, মলয় মৃদু হিল্লোলে বহিছে, কুসুম থরে থরে ফুটিছে, হৃদয়ে শাহানা রাগিণী বাজিছে। কেন এ সব হচ্ছে? কারণ, আমাদের স্নেহের পুঁটুরানীর সঙ্গে শ্রীমান্ চামেলিরঞ্জন বি. এস-সির শুভ-
১২১