পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/১১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*ffl'); S eS) আমাদের দেশ যদি পৃথিবী হয়, উত্তর পশ্চিম প্রদেশের অনুর্বর ক্ষেত্র যদি পৃথিবী হয়, মাড়োয়ারের দগ্ধ মুত্তিক যদি পৃথিবী হয়, তা হোলে যারা এ স্থানকে স্বৰ্গ বোলে উল্লেখ কোরে গেছেন, তারা অন্যায় করেন নি। মানুষের কৰ্ম্মফল যদি মৃত্যুর পর স্বর্গে যাবার কারণ হয়, তা হোলে আমার পক্ষে তার বড় একটা সম্ভাবনা দেখছি নে । তবে আমার সাস্তুনা এই, আমি মনে করি আমার এ জীবনেই স্বৰ্গবাস হােয়ে গিয়েছে, এ সব দেশে যা আছে তার চেয়ে আর বেশী কি স্বগে থাকবে ? কিন্তু আমি ঢেকী, স্বর্গেও ধান ভেনেছিলুম ; আর সেই জন্যেই বুঝি, স্বর্গভ্ৰষ্ট হোয়ে এখানে এসেও আবার ধান ভানতে আরম্ভ কোরেছি। জীবনটা ধান ভানতেই গেল ! তবে যে মধ্যে মধ্যে “শিবের গীত' গাই, সে কেবল দশজনের অনুরোধে ; কিন্তু দুঃখ, তাও ভাল কোরে গাওয়া হয় না। ’ নন্দায় তখনো জল ছিল কিন্তু বেশী নয়, তাতে নদীর মধ্যেকার পাথরগুলি ডুবিয়ে রাখতে পারে। আমরা যেখানে পার হোম্বে নন্দপ্ৰয়াগ বাজারে পৌছলুম, সেখানে বড় বড় প্রস্তরখণ্ড আছে, তারই পাশ দিয়ে জলের ধারা কলকব্ল শব্দে অতি বেগে বোয়ে চোলেছে । যেখানে বড় পাথর নেই, সেখানে জলধারা বেশ দেখা যাচ্ছে । যেখানে জলধারা পাথরের আড়ালে পোড়ে দেখা যাচ্ছে না, সেখান হোতেই অবিশ্রান্ত কল কল শব্দ উখিত হোচ্ছে । আমরা একটা থেকে আর একটা পাথরে অতি সাবধানে পা ফেলে, জলে পা না ঠেকিয়েই, নন্দ পার হোয়ে বাজারে উপস্থিত হোলুম। বর্ষাকালে কিন্তু এ রকম কোরে নন্দ পার হওয়া যায় না। অল্প দূরে যে একটা সাকো আছে, তখন তারই উপর দিয়ে নদী পার হোয়ে বাজারে ও সঙ্গমস্থলে আসতে হয়। বাজারে একটা দোতলা ঘরে বাস করা গেল। নীচে দোকান, উপরে আমাদের বাস। আগাগোড়া কাঠের ঘর, কেবল মাথার উপরে শ্লোটু পাথর দিয়ে ছাওয়া । আমরা যে ঘরটায় ছিলুম, তার একটা