পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বারান্দা বাজারের রাস্তার দিকে ; আমরা সেই বারান্দা দখল কোরে বসলুম। দুপুরে আমরা কিছু খাওয়া দাওয়া কম্বুম না। বৈকালে বাজার দেখতে বাহির হওয়া গেল। অনেকগুলি দোকান, আর তাতে :অনেক জিনিস পত্র বিক্ৰী হোচ্ছে। বোলতে গেলে শ্ৰীনগরের পর আর এমন বাজার এ পথের মধ্যে দেখি নি । বাজারে প্রায় সকল জিনিসই পাওয়; যায়। আমরা রাত্রের জন্যে খাওয়া দাওয়ার একটি বিশেষ বন্দোবস্য কোল্লাম। খানিক পরে আবার বাহির চেয়ে পড়া গেল । স্বামীজী ও বৈদান্তিক বাসায় থাকলেন। বাজারের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি, দেখি দুজন বাঙ্গালী পুরুষ এবং তিন চার জুন স্ত্রীলোক একটা দোকানে বোসে আছে : তাদের দেখেই আমার মনে এমন একটা আনন্দ উথলে উঠলো, ত: র্যারা দূর প্রবাসে দীর্ঘকাল পরে একজন আত্মীয়কে দেখেছেন, তারাই শুধু বুঝতে পারবেন। আমি তাদের কাছে যেতেই তারা পরম আগ্রহে আমাকে সেখানে বোসতে বোল্লেন । তাদের মুখে শুনলুম, তার আগের বৎসরে নারায়ণ দর্শন করবার জন্যে এসেছিলেন ; রাস্তায় অনেক নিষেধ করেছিল, কিন্তু তার কারো কথা না শুনে এতখানি রাস্তা এসেছিলেন । শুনলাম, তারা কাটি গুদামের পথে এসেছিলেন । এখানে এসে আর অগ্রসর হোতে পারেন নি, কারণ শীত ও অসম্ভব, আর তঁদের বিশ্বাস জন্মেছিল যে, সেবার নারায়ণের দ্বার খোলা হয় নি। দুর্ভিক্ষের জন্য যাত্রী আসা বন্ধ কোরে দেওয়াতেই বোধ হয় তাদের এ রকম ধারণা হোয়েছিল। তারা নারায়ণ দর্শন কোর্ভে এসেছেন ; এত অর্থব্যয় কষ্ট সহ কোরে এতটা পথ এসে পোড়েছেন, সম্মুখে আর আট নয় দিনের রাস্তা বাকি, এরকম অবস্থায় যদি তারা ফিরে যান, তা হোলে হয় তো জীবনে আর নারায়ণ দর্শন নাও ঘটতে পারে। এই সমস্ত কথা ভেবে এই এক বৎসর এখানে অপেক্ষা কোচ্ছেন, এবং সংবাদ লিখে ডাকে বাড়ী হােতে