পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোশীমঠের পথে Soo ফেলেছে! তাই আজ তারা দেশ কাল ভুলে পরস্পরের জন্যে অশ্রু বিসজন কোচ্ছে। আমি এই দৃশ্যে একবারে মুগ্ধ হোয়ে গেলুম ; এই দৃশ্য আমার কতকাল মনে থাকুবে! আমরা তিন জন একটু তফাতে দাঁড়িয়ে দেখছি, ছেলের দল আমাদের সম্মুখে সার দিয়ে দাড়িয়েছে ; বাঙ্গালীর জুন্যে, আমারই যারা ভাই বোনের মত, তাদের জন্যে এই পাহাড়ীদের এত স্নেহ, এত আগ্রহ ; কে জানে পাহাড়ের অনুর্বর কঠিন প্রদেশেও আমাদের জন্য করুণার কোমল উৎস৷ শতমুখে প্রবাহিত হোতে পারে ? পাহাড়ীদের কাছে বিদায় নেওয়া শেষ হোলে, তারা আমাদের কাছে বিদায় নিতে এলেন । তারা ছেড়ে যাবেন, আমার প্রাণের মধ্যে কেমন কোরে উঠলে ; জানিনে বিদেশে দেশের লোকের সঙ্গে দেখা হোলে, তাদের প্রতি এমন টান হয় কেন ? বোধ হয় দেশের একটা লুপ্তস্মৃতি মনের মধ্যে হঠাৎ জেগে প্ৰীতিপ্রবাহে হৃদয় ভাসিয়ে দেয়, তাই তখন আমরা আত্মপর ভূলে যাই ; শুধু মনে হয়, এরা যে দেশের, उोंभि४ (अर्के দেশের, এরা আমার স্বদেশবাসী, আমার আত্মীয় । তাই সঙ্গে সঙ্গে আমার সেই প্রিয়তম জন্মভূমির কথা মনে হোলো। কোথায় আমরা কোন অজানিত, বিপদাপূর্ণ বরফের রাজ্যে যাচ্ছি, আর এরা চিরবাঞ্ছিত জন্মভূমিতে আত্মীয় বন্ধগণের মধ্যে ফিরে যাচ্ছেন । এ যাত্ৰা হোতে যে এ জা বনে ফিরে আসবে, সে কথা কে বোল বে? মনে পড়লো, সেই বহুদিন আগে যখন কলকাতায় থেকে পড়া শুনা কোরত্নম, সে সময় মধ্যে মধ্যে বন্ধুবান্ধবদের গাড়ীতে তুলে দিতে সিয়ালদহ ষ্টেসনে যৌতুম ; তারা যখন গাড়িতে চোড়ে বসতেন, গাড়ী ছাড়ে ছাড়ে, সে সময় দেশে যাবার জন্যে প্ৰাণে কেমন একটা ব্যাকুলত উপস্থিত হোত । সে দিন সমস্ত দিন আর কোন কাজেই মন লাগতো না, শুধু বাড়ীর স্নেহ-কোমল স্মৃতি নিরাশাপূর্ণ চপল চিত্তকে অধীর কোরে তুলতো। আজ অনেক বৎসরের পরে, বহু দূরে এই পৰ্ব্বতের মধ্যে কয়জন বাঙ্গালী স্ত্রী পুরুষকে