পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/১২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোশীমঠের পথে G যে দৃশ্য উন্মুক্ত হোয়েছে, এ অলৌকিক ! মানুষের ক্ষমতা ও ক্ষমতার গৰ্ব্ব এই বিরাট বিশাল নগ্ন সৌন্দৰ্য্যের পাদদেশে এসে স্তম্ভিত হোয়ে যায় ; প্রতি মুহুর্তে নূতন বর্ণে সুরঞ্জিত অভ্ৰভেদী শৃঙ্গের দিকে তাকালে আমাদের ক্ষুদ্রতা ও দুর্বলতা আমরা মৰ্ম্মে মৰ্ম্মে অনুভব কোন্তে পারি ; সৃষ্টি দেখে আমরা স্ৰষ্টার মহান ভাব কতক পরিমাণে হৃদয়ে ধারণা করবার অবসর পাই । খানিক দূর আর অন্য দৃশ্য নেই। বামে দক্ষিণে, সম্মুখে প”সাতে সকল দিকেই শুভ্রকায় তুষারাচ্ছন্ন পৰ্ব্বতশ্রেণী । এ সকল দৃশ্য দেখবার আগে জায়গায় জায়গায় বরফের স্তপ দেখেই মনে কি আনন্দ হোচ্ছিল, কিন্তু এখন এই বরফের রাজ্যের মধ্যে এসে পড়াতে সেই গভীর আনন্দ অব্যক্ত বিস্ময়ে পরিণত হোয়েছে । এক একবার আমব মনে হোতে লাগলো, সেই শস্যশ্যামল, সমতল, ধনধান্যপূর্ণ প্ৰদেশ, আর সেন্স চির হিমানীবেষ্টিত, বৃক্ষলতাশূন্য, নিৰ্জন উপত্যকা, এ কি একই পৃথিবীর অন্তৰ্গত ? প্রায় পাঁচ মাইল যাওয়ার পর আবার যেন একটু একটু লোকালয়ের আভাস পাওয়া গেল । আমরা আর একটা পৰ্ব্বতের উপর এসে পোড়, লুম ! এটায় তত বরফ দেখা গেল না, স্থানে স্থানে বরফ আছে মাত্ৰ , এ ছাড়া এদিকে ওদিকে দু’। পাচটা গাছপালাও দেখা গেল ! এ পাহাড়টা সেই বরফের পাহাড়ের একটি ক্ষুদ্রািমস্তক দরিদ্র প্রতিবাসী । আরে! খানিক দূর যাওয়ার পর শুনলুম, নিকটেই একটা বাজার আছে ; বাজারের নাম “পিপল কুঠী ।” এই পাহাড়ের মাথায় খানিকটে জায়গা সমভূমি, সেখানেই বাজার অবস্থিত। আমরা রাস্তা ছেড়ে খানিক উপরে উঠে। তবে বাজারে পৌছলুম। বাজারটা নিতান্ত মন্দ নয় ; আট দশখান। দোকান আছে, খাদ্যদ্রব্যও মোটামুটি সকল রকমই পাওয়া যায়। বাজা, রের অবস্থিতি স্থানই কিন্তু আমার সব চেয়ে মনোহর বোধ হলো ।