পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/১৪৪

>\○o श्भिालशू তোমারই বা দোষ কি, তোমাদের নামে মানুষ প্রতিদিন অসঙ্কোচে কান্ত কুকাৰ্য্যই না করে ? কিন্তু কতদিন দেবী স্থানচু্যত হোয়েছেন, তা ঠিক জানতে পাল্লম না । কেহ কেহ বলেন, শঙ্করাচাৰ্য্য যখন যোশীমঠের প্রতিষ্ঠা করেন, সেই সময় তিনি এই ভয়ানক কাণ্ড নিবারণ করেন, সেই সময় হোতে দেবীমূৰ্ত্তি বিমুখ অবস্থায় মন্দির মধ্যে প্রোথিত হোয়েছেন ; এখন শুধু তার শূন্য আসনখানিই দেখা যায়, এবং তারই পূজা হোয়ে থাকে কিন্তু কারো মতে এই বিপ্লব শঙ্কারাচায্যের দ্বারা সাধিত হয় নি । এ সম্বন্ধে তাদের প্রধান যুক্তি এই যে, শঙ্করাচাৰ্য্য হিন্দুধৰ্ম্মের একজন অবতার বিশেষ, এমন কি অনেকে তার উপর শিবত্ব পৰ্য্যন্ত আরোপ কোরে থাকে ; সেই শঙ্করাচাৰ্য্য যে এমন একটা শ্লেষ্ট ভাবাপন্ন কাজ কোরে ফেলবেন, এ কথা তারা কিছুতেই বিশ্বাস কোর্তে রাজা নয় । কিন্তু এরা বোঝে না, ধম্মের সংস্কার ও বিনাশ এক কথা নয়, সুতরাং, ধৰ্ম্মের সংস্কারের জন্য যে কাজ শঙ্করাচাৰ্য্যের পক্ষে নিতান্ত সহজ, এরা তা ধৰ্ম্ম বিনাশক মনে কোরে কখনই ধারণা কোরতে পারে না যে, ৭ নং অধৰ্ম্ম শঙ্করাচাৰ্য্য দ্বারা কিরূপে সাধিত হোতে পারে ? যা হে" এ সম্বন্ধে এদের মতও উড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে না । কারণ এরা বলে, বৌদ্ধের যখন এখানে আসেন, তখনই তারা এই ঘুণিত প্ৰথা বন্ধ কোরেছিলেন। এই দুই মতের কোন মত সত্য, তা অনুমান কর। কঠিন । এই বিষম অপ্রীতি কর জায়গায় আমি আর বেশীক্ষণ থাকতে পাল্লাম না। দ্রুতপদে মন্দির ত্যাগ কলম, বোধ হোতে লাগলো শত শত নরকঙ্কাল আমার পাছে পাছে ছুটে আসচে ! ! মন্দির থেকে বা’র হোয়ে একেবারে যোশীমঠে উপস্থিত হোলুম ; বাহিরে একটা ঝরণা হোতে অবিরাম জল পোড়ছে ; সেই ঝরণার কাছ দিয়ে একটা ছোট দ্বারপথে আমরা মন্দির প্রাঙ্গণে প্ৰবেশ কোল্প মা !