পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সৌভাগ্যক্রমে আমাদের , শ্রদ্ধাভাজন বন্ধু বাবু জলধর সেন মহাশয় একবার সংসারসাগরের ঘূর্ণ্যাবৰ্ত্ত ভেদ করিয়া তাহার সংসার-বাস-বৰ্জিত । কৰ্ম্মহীন জীবন মৃত্যুর মহিমাময় তটে নিক্ষিপ্ত করেন, সংসারের সুখের | প্রলোভন ছাড়িয়া শান্তির আশায় তিনি হিমালয়ের বিজন বক্ষে আশ্ৰয় । গ্ৰহণ করিয়াছিলেন। তাহা কতদূর পূর্ণ হইয়াছিল সে সংবাদ আমরা রাখি না, কিন্তু তাহার সুদীর্ঘ বিরহী জীবন আমাদের বঙ্গভাষার দীনভাণ্ডারে যে মহাৰ্য্য রত্ন দান করিয়াছে তাহা চিরদিন বঙ্গ সাহিত্য সমলস্কৃত করিয়া রাখিবে বলিয়া আশা হয়। বিধাতা তাহার হৃদয়ের প্রিয়তম সামগ্ৰী হরণ করিয়া তাহার হৃদয়ের যে তন্ত্রীতে আঘাত করিয়াছিলেন, তাহার করুণ ঝঙ্কার প্রত্যেক বঙ্গীয় পাঠকের হৃদয়ে প্ৰতিধ্বনিত হইবে । বঙ্গভাষার সৌভাগ্য, তিনি হৃদয়ে গভীর আঘাত পাইয়া হিমালয়ের অমরকাহিনী বঙ্গভাষায় ব্যক্তি করিয়াছেন ; এ আঘাতে তঁাহার যতই ক্ষতি হউক বঙ্গভাষার মহোপকার হইয়াছে; পাঠকগণ ও একটী বিস্ময়ুপূর্ণ, অদৃষ্টপূৰ্ব্ব, অসাধারণ দৃশ্যপরম্পরার সহিত পরিচিত হইয়াছেন।--ইংরাজীতে একটা প্রবাদ আছে, নাইটিংগেল পক্ষী কটকের উপর বক্ষ স্থাপন না করিয়া কখন গান 5İtfk( ft3 , Isgg3 Cf6 3.f7f7f7gr” ()ur sweetest songs are those that tell of sadd st. t hottglıt”--उशेि বুঝি জলধর বাবুর ভ্রমণ-কাহিনী এত সুমধুর। জলধরবাবুর ন্যায় স্বভাবভীরু লোক সহজে আত্মপ্রকাশ করিতে চাহেন না। বর্তমান ভূমিক-লেখকের সহিত এই ভ্ৰমণ বৃত্তান্ত সাধারণের সম্মুখে প্ৰকাশ বিষয়ে কিছু সম্বন্ধ আছে। আমি তাহার ডাইরী খানি তঁ, হার নিকট হইতে কাড়িয়া লইয়া যদি হিমালয় কাহিনী যথানিয়মে “ভারতী” পত্রিকায় প্ৰকাশ না করিতাম, তাহা হইলে তিনি স্বেচ্ছা প্ৰবৃত্ত হইয়া বঙ্গ ভাষায় এ রত্ন প্ৰকাশ করিতেন। কি না। এ সম্বন্ধে আমার এবং যাহারা জলধারাবাবুকে জানেন, তঁহাদের অনেকেরই সন্দেহ আছে । আজ t