পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/১৫৪

) 8 to झिभiअध्न । কপাট লাগানো সুতরাং ইচ্ছা কোল্লেই চারদিক বন্ধ কোরে বেশ সুরক্ষিত অবস্থায় থাকা যায়। আমরা মন্দিরের মধ্যে প্ৰবেশ না কোরে আগে যে সিঁড়ির কথা বলেছি, সেই সিড়ি দিয়ে সঙ্গমস্থলে নেমে গেলুম। সেখানে —আর শুধু সেখানে কেন—এই মন্দির মধ্যে কথা বোলতে হোলে খুব চেচিয়ে বোলতে হয়, কারণ জলের এত শব্দ যে কিছুই শুনতে পাওয়া যায় না । বিষ্ণুপ্ৰয়াগ সমতল স্থানে নয়,দুদিক হোতে যে দুটী নদী নীচে আসচে, छेड6श् १ांशggद्भ ঢালু গা বে য়ে নামচে সুতরাং অন্য স্থান অপেক্ষ। এখানে নদীর স্রোত এবং শব্দ দুইই বেণী । তার উপর যেখানে সঙ্গমস্থল, তার আট দশ হাত উজানে অলকানন্দ। একটা পাহাড়ের উপর থেকে লাফিয়ে নীচে পোড়াচে সুতরাং এই মন্দিরের কাছে শব্দ আরো বেশী। সমুদ্রগর্জন অনেকেই শুনেছেন ; অপার জলধির বিপুল গর্জন, বায়ুহিল্লোলে উন্মত্ত তরঙ্গ রাশির অসীম মুক্তপ্রদেশে অবাধ নৃত্য এবং তার প্রবল বিক্রম, এ সকলের মধ্যে কোমলতা বা সঙ্কীর্ণতা নেই, তাই বুঝি আমাদের ক্ষুদ্র কল্পনা তার ভিতর পোড়ে শ্ৰান্ত, অবসন্ন ও ব্যতিব্যস্ত হোয়ে পড়ে ; কিন্তু সঙ্গমস্থলের জলের অবস্থা সে রকম নয়। এই অবিশ্রান্ত শব্দে মনে শ্ৰান্তি অ’ ? না, শান্তি আনে ; এই উগ্রশব্দের মধ্যে এমন একটু কোম, , এমন একটু মিষ্টতা আছে, যা মৰ্ম্মস্পৰ্শী। অনেকক্ষণ শব্দ শুনতে শুনতে বোধ হয়। ঘুম আসে ; কিন্তু তাই বোলে এর বিক্রম কম নয়। সঙ্গমস্থলের এই ঘূর্ণিত ফেনিল জলে নামে কার সাধ্য ? নামতে সাহসই হয় না। দিবারাত্রি জল আলোড়িত হচ্ছে; জলের কাছে গেলে মাথা ঘুরে যায়। ইন্দোরের রাণী মন্দির হোতে সিড়ি প্ৰস্তুত করিয়ে তার সব নীচের সিড়ির দুপাশে পাহাড়ের মধ্যে লোহার শিকল বঁধিয়ে দিয়েছেন। এই শিকল জলের উপর দোলে, যাত্রীরা এই শিকল ধোরে জলস্পর্শ করে, সুন্নান করীবার শক্তি কারো নেই। যাদের মাথা ভাল নয়, একটা কিছু গোলমাল দেখলেই সহজে যাদের মাথা ঘুরে উঠে, তাদের এ জলের কাছে যাওয়া উচিত নয় ।