পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/১৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* বিষ্ণুপ্রিয়াগ । 8 S হিমালয়ের মধ্যে এমন অনেক স্থান আছে যাদের সঙ্গে এর তুলনা হোতে পারে ; কিন্তু সে তুলনা হিমালয়বাসী ছাড়া আর কেউ বুঝবেন কিনা সন্দেহ ; তার চেয়ে যদি বলা যায়, এ একটা ছোটখাট নায়ে গ্রার মত, তা হোলে বোধ করি অনেকে বুঝতে পারেন, কারণ বাঙ্গালীর মধ্যে দু’চারজন ছাড়া আর কেউ নায়েগ্ৰা না দেখলেও অনেকেই তার বর্ণনা পোড়ে পোড়ে তাতে অভ্যস্ত হোয়ে গেছেন, এই সঙ্গমস্থল নায়ে গ্রার একটা ছোট প্রতিকৃতি বোল্লেই বােধ হয়। বর্ণনা যোল আনা রকম হয়। এতে যিনি সন্তুষ্ট নন, তাকে সঙ্গে কোরে আমি পাহাড় পৰ্ব্বত ভেঙ্গে বরং এখানে আসতে রাজী আছি, কিন্তু বর্ণনা দিতে সম্পূর্ণই অক্ষম। সমস্ত দেখে শুনে আমরা উপরের সেই মন্দিরে এসে উপস্থিত হোলুম। যাবার সময় দেখে গিয়েছিলুম মন্দিরের ভিতরের দ্বার বন্ধ, এখন দেখি দ্বার খোলা । একটি ৮৯ বছরের ছেলে সেই উন্মুক্ত দ্বারের মধ্যে বোসে আছে। ভিতরের দিকে চেয়ে দেখলুম, ভবিষ্যতে যেখানে শিবমূৰ্ত্তি স্থাপিত হবে, সেইখানে একখানা কাঠের ছোট চৌকীর উপর তেল সি দূরে শাখানে। পাথরের খোদা কয়েকখান। মূৰ্ত্তি ; তেল সি দূরের প্রসাদে তারা । পুরুষ কি স্ত্রী, মানুষ কি আর কিছু, কিছুই বুঝবার উপায় ষ্ট্রে ! মন্দিশ্নের মালিক এখানে আসেন নি, তাই এই বালক নিখরচায় তার পুতুল গুলিকে মন্দিরের মধ্যে বসিয়ে অনায়াসে দু’চার পয়সা রোজগার কোরুচে ; পরে যখন মন্দিরের প্রকৃত অধিকারী এসে উপস্থিত হবেন, তখন এই দেবতারা অন্যান্য জাতিভায়ার মত বৃক্ষতল আশ্রয় কোরুবেন । জিজ্ঞাসা কোরে জানলুম, বা লব্ধ টী আমাদেব সেই লুচিওয়ালা বামুনঠাকুরের ছেলে। এদের বাড়ী যোশীমঠে । ছেলেটীর সঙ্গে গল্প যুড়ে দেওয়া গেল। এদিকে বৈদান্তিক ভায়া দোকানদারকে পুরী প্ৰভৃতি ফরমাইস দিলেন। যে পরিমাণে জিনিস তিনি ফরমাইস দিলেন, তাতে আমার ও স্বামীজির চার পাচ দিন চলতে এবং যদি বৈদান্তিকের উদরের পরিমাণ সম্বন্ধে আমার অভিজ্ঞতা না।