পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/১৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বদরিকাশ্ৰমে । SCSS এত কঠোর ডান্তম কাল সমস্ত সার্থক হবে! র্যারা নিষ্ঠাবান ধা। মক, ভগবানের চির প্রসন্নতাই র্যাদের লক্ষ্য, এবং ভক্তিকেই স্বারা জীবনপথের অমূল্য পাথেয় বোলে ধ্রুব জেনেছেন, তাদের শান্তিলাভ অসম্ভব কথা নয়। কিন্তু আমার লক্ষ্য, আমার উদ্দেশ্য যে কিছুই নেই ! বদরিনারায়ণের মধুর সত্তা কি আমার হৃদয়ের দারুণ পিপাসা নিবারণ কোর্তে পারবে ? দেখি যদি সাধুর এই অভীষ্ট মন্দিরে, এই সনাতন ধৰ্ম্মের পীঠতলে একটু শান্তি, একটু তৃপ্তি যুগান্তব্যাপী মহাক্টোর মধ্যে লক্কান্বিত থাকে । আশা, উৎসাহে এবং স্বপ্ন-জাগরণে সমস্ত রাত্ৰি কেটে গেল । ਟs ২৯ মে শুক্রবার,-—মনের মধ্যে একটা ইচ্ছা ছিল, খুব ভোরে বের খোয়ে পোড়তে হবে, তাই রাত থাকতেই ঘুম ভেঙ্গে গেল। তখনই আমরা ধাত্রার আয়োজন কোরে নিলুম। আজ আমাদের যাত্রার অবসান। আনন্দে, উৎসাহে এবং সঙ্গে সঙ্গে খানিকটা নিরাশায় হৃদয় পূর্ণ হোয়ে যাচ্ছিল। কোন কবি লিখেছেন, “আশা যার নাই তার কিসের বিষাদ”- আমার ও কোন বিষাদ ছিল না, কিন্তু যোগী ঋষিগণ যে সুখের আস্বাদনে বিমুগ্ধ, আমার সে সুখ কোথ, ? - হিমালয়ের পাষাণমণ্ডিত স্তুপের উপর দাড়িয়ে আমাদের শস্যশ্যামল, নদনদী-শোভিত, সমতল মাতৃভূমির দিকে চক্ষু ফিরিয়ে মনে মনে ভাবলুম, “কোথা সুখ, কোথা তুমি ? মাত! বঙ্গভূমি, তোমাকে ত্যাগ কোরে আজ ভূতলে অতুলতীৰ্থ বদরিকাশ্রমের দ্বারদেশে দাঁড়িয়ে আছি। সুখের সন্ধানেই এতদূর এসেছি ; সুখ নাই মিলকি, শান্তি কৈ ?” হ্যায়, মনে সে পবিত্রতা নেই, চিত্তের সে দৃঢ়তা নেই, প্ৰাণের সে একাগ্ৰতা নেই, কিসে হৃদয়ে শান্তি পাব ? এত পরিাশ্ৰম, জীবনের এই কঠোর ব্ৰত সমস্ত নিস্ফল হোলো ।