পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/১৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বদরিকাশ্রমে SS সেখানে ভয়ানক পিছল ; একটু অসাবধান হেয়ে পা ফেল্পেই আর কি ? মুহৰ্ত্তের মধ্যে ইহা জীবনটা ডিঙ্গিয়ে পরলোকের প্রান্তে উপস্থিত হওয়া যায় । চোলাতে চোলাতে পায়ের যাতনা ক্ৰমে অনেকটা কমে এল দেখলাম । আস্তে আ স্তে পা দুখানি অসাড়া হোয়ে পড়লো ; তখন সেই তুষারুশীতল স্পর্শ আর তাদের কাতর কোবুতে পারুলে না বেশ বেগের সঙ্গেই চোলাতে লাগি লম। সময়ে সময়ে দুই এক দল বরফ তুলে নিয়ে গোলাকার কোরে দূরে ছুড়ে ফেলি, দেখতে দেখা তে তা ধুলোর মত গুড়ে { 67: सांश् । প। অবশ হোঁয়ে ক্ৰমে ক্ৰমে ভারি হোয়ে এল। তবু প্ৰাণপণ শক্তিতে এ পথটুকু চোলাতে লাগিলুম ; খানিক পরে পাহাড়ের মাথায় গিয়ে পৌছু লুম! বেলা তখন শেষ হ্যোয়ে এসেছে । এখানে এসে চেয়ে দেখলুম। অপর পাশে খানিকটে নীচে কিছুদূর বিস্তুত একটা সমতল ক্ষেত্ৰ । দুই পাশে দুটি অভ্ৰভেদী পাহাড় ধাতুকের মত সেই সমতলভূমিকে কোলে নিয়ে বোসে রোয়েছ ; অলকানন্দ দূরে দূরে অকাবক। দেহে অতি ধীর গতিতে চোলে যাচ্ছে । কোথাও । সামান্য স্রোত দেখা যাচ্ছে ; জল দেখবার যে নেই, পাতলা বরফ গুলি পীরে ধীরে ভেসে যাচ্ছে, তাই দেখে স্রোতের অস্তিত্ব অনুভব করা যায়, কোথাও বা স্রোতের সম্পর্ক মাত্র নেই, আগাগোড়া জমে গিয়েছে, কেবল নদীগর্ভের নিম্ন তায় নদীর অস্তিত্ব কল্পনা করা যাচ্ছে । সেই দুগ্ধফেননিভ, বহুদূর বিস্তৃত তুষার রাশির উপর অস্তোন্মুখ তপনের লাল রশ্মি প্রতিফলিত হয়ে এমন বিচিত্ৰ শোভা হোয়েছিল যে বোধ হলো সে বেন পৃথিবীর শোভা নয়, সে দৃশ্য অলৌকিক । আমি মনে মনে কল্পনা কলুম। শাস্তিহার অধীর হৃদয়ে ঘুরতে ঘুরতে আজি বুঝি বিধাতার আশীৰ্ব্বাদে দুঃখকোলাহলময় পৃথিবীর অনেক উৰ্দ্ধেবরণীয় স্বৰ্গরাজ্যের দ্বার উপনীঃ ন হয়েছি,